মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে নতুন করে চিন্তা করা উচিৎ। যশবন্ত সিনহা ভারতকে কাবুলে পুনরায় দূতাবাস খোলার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন। সিনহা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আফগানিস্তানের মানুষ ভারতকে খুব ভালোবাসে।
সিনহা আরো বলেন, বড় দেশ হওয়ার সুবাদে ভারতের উচিৎ তালিবানের ইস্যুগুলি নিয়ে ভাবা। আর এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে যে, পাকিস্তান আফগানিস্তানে কবজা করে নিয়ে সুবিধা পেয়ে যাবে। আসল সত্য হল, তালিবান আফগানিস্তানের বেশীরভাগ অংশেই নিয়ন্ত্রণ রেখেছে, আর ভারতের উচিৎ অপেক্ষা করা এবং দেখার নীতি গ্রহণ করা। ভারত যেন চটজলদি তালিবান সরকারের স্বীকৃতি খারিজ করে ভুল না করে বসে।
সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার এই মন্ত্রী বলেন, ‘কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। আফগানিস্তানে এখনও প্রচুর ভারতীয় নাগরিক আটকে রয়েছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দূতাবাস খোলা রাখা অত্যন্ত জরুরি ছিল। বিশ্বের আরও অনেক দেশ এখনও তাদের দূতাবাস খোলা রেখেছে। আফগানিস্তানের বিপন্ন মানুষ দূতাবাসে এসে আশ্রয় নিতে পারতো।’
তার মতে, অতীতে তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করেছে ভারত। অতএব দেশের মঙ্গলের জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলা যেতেই পারে। তাহলে করণীয় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আফগানিস্তানের যা পরিস্থিতি তাতে ভারতের পক্ষে তিনটি বিকল্প রয়েছে। এক, প্রকাশ্যে তালেবানের নিন্দা করা। দুই, তালেবানকে সমর্থন করা। তিন, একেবারে চুপ থাকা। কিন্তু বেশিদিন চুপ করে থাকাও সম্ভব নয়। কারণ দেশটিতে আমাদের নাগরিকরা আটকে রয়েছেন।’
ভারত আফগানিস্তান সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার এই মন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাবতে হবে তালেবানরা ভারত সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন, পাকিস্তান ছাড়াও রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের সমর্থন দিয়েছে। যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এখন সময় অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার।’
যশবন্ত সিনহা বলেন, মনে রাখতে হবে, ‘ভারতের কাছে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ কৃতজ্ঞ। দিল্লি সেখানে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। আমি ২০০২ সালে আফগানিস্তানে গিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি।’
আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মোদি সরকারকে কোনও পরামর্শ দিতে চান? এমন প্রশ্নে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘ভারতে খুব কম রাজনীতিক আছেন যারা কাবুল, মাজার-ই-শরীফ-সহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহর ঘুরে দেখেছেন। সৌভাগ্যবশত আমি তাদের মধ্যে একজন। মোদি সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের পরামর্শ নেবেন কিনা সেটা তাদের বিষয়।’ সূত্র: নিউজ ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।