Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাউন্সিলের শাসন হবে আফগানিস্তান : ঘোষণা তালেবানের

বিদেশি রিজার্ভ বন্ধে আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কা : নতুন সেনাবাহিনী গড়ার পরিকল্পনা

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ/ইশতিয়াক মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

আফগানিস্তান শাসন করতে গণতন্ত্র নয়, গঠন করা হতে পারে তালেবানদের একটি কাউন্সিল। এর প্রধান করা হতে পারে তালেবান আন্দোলনের সুপ্রিম নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে। তার পদ হবে প্রেসিডেন্টের সমতুল্য। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান সিনিয়র নেতা ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি এসব কথা বলেছেন। এদিকে, আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকরা দ্রুত বর্ধনশীল আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে। কারণ তালেবানের জন্য আফগানিস্তানের বিদেশি মুদ্রার মজুদ বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা সহায়তাদাতারা - যারা দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে - তারা ইতোমধ্যেই সেই সহায়তা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বা পেমেন্ট কেটে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।

তালেবানের বর্তমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে জড়িত ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের সাবেক পাইলট এবং সেনাদেরকে নতুন করে তাদের পদে যোগ দিতে বলা হবে। কীভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তা এখন দেখার বিষয়। আফগানিস্তানে কী রকম সরকার আসবে, ক্ষমতার রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা তালেবানদের বিগত সময় অর্থাৎ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালের মতোই। ওই সময়ে সুপ্রিম নেতা মোল্লা ওমর থেকে যান ছায়ার মতো। একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে কীভাবে দেশ পরিচালিত হবে তার নির্দেশনা দিয়ে যান তিনি। সেই হিসাবে এবারের কাউন্সিলে প্রধান হিসেবে ভ‚মিকা রাখতে পারেন আখুন্দজাদা। যাকে দেশের প্রেসিডেন্টের সমতুল্য দেখা হবে। উল্লেখ্য, তালেবান সুপ্রিম নেতার আছেন তিনজন ডেপুটি। তারা হলেন মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব, সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এবং আবদুল গনি বারাদার। এর মধ্যে শক্তিশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। অন্যদিকে কাতারের রাজধানী দোহা’তে তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল গনি বারাদার। একই সঙ্গে তিনি তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

তালেবানরা কীভাবে আফগানিস্তান শাসন করবে, তার অনেক ইস্যু এখনও চ‚ড়ান্ত নয়। এ কথা জানিয়ে ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেন, চ‚ড়ান্ত না হলেও এটা বলা যায়- আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক হবে না। তার ভাষায়, মোটেও কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে না। কারণ, গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি নেই আফগানিস্তানে। তাই আফগানিস্তানে কোন রকম রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো না। কারণ, বিষয়টি পরিষ্কার। আফগানিস্তান চলবে শরীয়া আইনে। এটাই শেষ কথা।

এ সপ্তাহের পরের দিকে শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা সভা আহবান করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন তালেবানদের শীর্ষ নেতারা। তাতে ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমিও যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে যেসব সেনা সদস্য ও পাইলট যুদ্ধ করেছেন, তাদেরকে নতুন করে পদে নেয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমিকে। তিনি জবাবে বলেন, তালেবানরা নতুন একটি জাতীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা স্থির করেছে। তাতে তালেবান সদস্যরা যেমন থাকবেন, তেমনি সরকারি সেনারাও যোগ দিতে পারেন। তাদের বেশির ভাগই তুরস্ক, জার্মানি এবং ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষিত। তাদেরকে আমরা তাদের পদে বসাতে চাই। তবে অবশ্যই আমরা কিছু পরিবর্তন আনবো। সেনাবাহিনীতে সংস্কার করা হবে। তবু তাদেরকে (সাবেক) আমাদের প্রয়োজন। আমাদের সঙ্গে তাদেরকে যোগ দেয়ার আহবান জানাই।

ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেন, বিশেষ করে পাইলটদের বেশি প্রয়োজন তালেবানের। কারণ, তালেবানদের মধ্যে কোনো পাইলট নেই। তারা বিদেশি সেনাদের কাছ থেকে অনেক হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ জব্দ করেছে। এগুলো চালানোর মানুষ নেই। হাশিমি বলেন, এরই মধ্যে অনেক পাইলটের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদেরকে ফিরে এসে যোগ দিতে বলেছি। বলেছি, আপনাদের ভাইদের সঙ্গে যোগ দিন। দেশের সরকারের সঙ্গে যোগ দিন। তাদের অনেককে ফোন করেছি। অন্য সদস্যদের খুঁজছি। প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেসব বিমান অবতরণ করেছে সেগুলো ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছে তালেবানরা। এমন ২২টি সামরিক বিমান, ২৪টি হেলিকপ্টার রয়েছে।

এদিকে, তালেবানরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান, পাকিস্তান এবং উপসাগরের ধনী দাতাসহ বহিরাগত আর্থিক সমর্থকদের থেকে আরও স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে। গত বছর তাদের আর্থিক প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১৬০ কোটি ডলার। তবে এই অর্থ সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। গত রোববার মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজে নাটকীয়ভাবে বাকি যাত্রীদের সঙ্গে আফগানিস্তান ত্যাগ করেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ডিএবি) গভর্নর আজমল আহমেদি। তার দেশত্যাগের আগে-পরে একের পর এক টুইট করে আফগানিস্তানের অর্থনীতি কী অবস্থায় গিয়েছিল, তা তুলে ধরেন আহমেদি। টুইটে তুলে ধরা হয় বর্তমানে আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাল। রিজার্ভ যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে তালেবানের মধ্যে দ্রæতই একজন অর্থনীতিবিদ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

প্রথম এক টুইটে আহমেদি বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে আমাকে একজন ফোন করে জানান যে, আর কোনো মার্কিন ডলার সরবরাহ করা হবে না (আমরা পরদিন রোববার ডলারের একটি চালান আসবে এমন আশা করছিলাম, তবে ওই দিনই কাবুল তালেবান নিয়ন্ত্রণে চলে যায়)। শনিবার ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ডলারের দর বাড়িয়ে দেয়।’ এর পরপরই আরেক টুইটে আজমল আহমেদি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবশিষ্ট ডলারের রিজার্ভ সংরক্ষণ করে রাখতে প্রথমবারের মতো আমাকে ব্যাংক ও ডলারের নিলামে ডলারের অ্যাকসেস সীমিত করতে হয়েছিল। আমরা প্রতি গ্রাহকের সর্বাধিক উত্তোলনসীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। আর এরপরই ডলারের বিপরীতে আফগান মুদ্রার দর ৮১ থেকে প্রায় ১০০-তে চলে যায়। অবশেষে তা ৮৬-তে নেমে যায়’।

সাবেক এই গভর্নর বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের খবর। তিনি জানান, কীভাবে অবমূল্যায়ন হতে থাকে আফগান মুদ্রার। এক টুইটে তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে আমি প্রেসিডেন্ট গনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বুঝিয়েছিলাম যে, রোববারের প্রত্যাশিত ডলারের চালান আসবে না। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট গনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা বলে ডলারের চালান পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানান। নীতিগতভাবে এটি অনুমোদিত হয়েছিল।’ তিনি লেখেন, ‘এখন এসব বলা হাস্যকর মনে হলেও রোববার সন্ধ্যার মধ্যে কাবুল পতনের আশা করিনি। যা–ই হোক, পরবর্তী চালান কখনোই আসেনি। মনে হচ্ছে, আমাদের অংশীদাররা কী হতে চলেছে, সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছিল।’

আফগানিস্তানের রিজার্ভের হাল তুলে ধরেন আজমল তার টুইটে। তিনি লেখেন, ‘আমি এটা লিখছি, কারণ আমাকে বলা হয়েছে, তালেবান ডিএবির কর্মীদের সম্পদের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। যদি এটি সত্য হয়, তাহলে স্পষ্ট যে জরুরিভাবে তালেবানের দলে একজন অর্থনীতিবিদ যুক্ত করা দরকার।’

এর পরের টুইটে আহমেদি বলেন, ‘প্রথমত, গত সপ্তাহ পর্যন্ত মোট রিজার্ভ ছিল প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমাদের ভল্টে ৯০০ কোটি ডলারই ছিল। আন্তর্জাতিক মান অনুসারে বেশির ভাগ সম্পদ নিরাপদ, তরল সম্পদ যেমন ট্রেজারি ও স্বর্ণের হিসাবে রাখা হয়।’

এরপরের টুইটে ভল্টের যে হিসাব আহমেদি দেন, তা হলো ১. ফেডারেল রিজার্ভ ৭০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে মার্কিন বিল/বন্ড ৩১০ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের সম্পদ ২৪০ কোটি ডলার, নগদ অ্যাকাউন্ট ৩০ লাখ ডলার। ২. আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্ট ১৩০ কোটি ডলার। ৩. বিআইএস ৭০ লাখ ডলার। আহমেদি লিখেছেন, ‘আমরা বলতে পারি, তালেবানের কাছে অ্যাকসেসযোগ্য তহবিল সম্ভবত আফগানিস্তানের মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের শূন্য ১ দশমিক ১ থেকে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। একেবারেই বেশি নয়। ট্রেজারি অনুমোদন ছাড়া এটাও অসম্ভব যে, কোনো দাতা তালেবান সরকারকে সমর্থন করবে। এটাই সত্যি যে, তহবিল চুরি হয়ে গেছে বা ভল্টে রাখা হয়েছে বলে নয়, কারণ সব ডলার আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টে রয়েছে, যা ফ্রিজ করা হয়েছে। তালেবানের মনে রাখতে হবে, এটি কোনোভাবেই ডিএবির কর্মীদের সিদ্ধান্ত নয়। আফগানিস্তানের চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী কয়েক সপ্তাহ নগদ অর্থের চালান পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিপমেন্ট বন্ধ হওয়ার কারণে এ ধরনের নগদ অর্থের পরিমাণ শূন্যের কাছাকাছি, বিশেষ করে গত কয়েক দিন।

আহমেদির টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করলে দেখা যায়, কীভাবে মার্কিন নীতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে আফগান অর্থনীতিতে। কখনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নিউজ টুইটে ট্যাগ করেছেন তিনি। এরপর তুলে ধরেছেন নিজের মন্তব্য। এক টুইটে আহমেদি জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে আফগানিস্তানের বরাদ্দের কথা। তিনি লেখেন, খুবই উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো আইএমএফ সম্প্রতি ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দ অনুমোদন করেছিল। ২৩ আগস্ট সেই বরাদ্দের ৩৪ কোটি ডলার আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাওয়ার কথা ছিল। এখন নিশ্চিত নয় যে, সেই বরাদ্দ আফগানিস্তানে যাবে কি না।

মার্কিন নীতির বিষয় তুলে ধরে সব শেষে আজমল আহমেদি টুইটে বলেন, এটি অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল কর্তৃক বাস্তবায়িত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নীতির সরাসরি ফলাফল। তালেবান ও তাদের সমর্থকদের এ ফলাফল আগে থেকেই দেখা উচিত ছিল। তালেবান সামরিকভাবে জিতেছে, কিন্তু এখন শাসন করতে হবে। কারণ, এখন অর্থনীতির ক্ষেত্রে যা দেখা যাবে, তা হলো- ট্রেজারি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে, তালেবানের মূলধন নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ডলারের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে হবে, মুদ্রার অবমূল্যায়ন হবে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে, খাদ্যের দাম বাড়বে, যা কষ্ট বাড়াবে দরিদ্রদের।

শাসনক্ষমতা হাতে নিতে মোল্লাহ আবদুল গনি বারাদারসহ তালেবানের শীর্ষ নেতাদের গতকালই রাজধানী কাবুলে পৌছানোর কথা। সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জোরদার হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। তালেবানের সাথে সংশ্লিষ্ট কট্টরপন্থী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা ও সামরিক কমান্ডার আনাস হাক্কানির সাথে কথা বলেছেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডন্ট হামিদ কারযাই।

কাবুল বিমানবন্দরে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, কাবুল থেকে সামরিক বিমানে এপর্যন্ত ২,২০০ জনের বেশি ক‚টনীতিক এবং বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু ইউরোপিয়ান দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন যাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে তাদের বিমানবন্দর এলাকায় নিয়ে যেতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। মানুষ বিমানবন্দরের গেটে ঢোকার চেষ্টার সময় গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে বিমানবন্দরের গেটের বাইরে অপেক্ষায় থাকা মানুষজন বলেছেন। তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় টহল দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স, ডন ও বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • Rownakul ২০ আগস্ট, ২০২১, ২:৩১ এএম says : 1
    Afghan government or Taliban government whoever control the country always suffer the general Afghan people's.. If at fast the American forcess Can't proceed in Afghanistan maybe today the view of afgan Have been change but now they can't live there of die there.. Now they are going to apply all the dangerous possibilities in living.. Sus as try to escape from others country whatever It's ligal or in ligal. Some body's ar going to hanging them selves etc.. Please do sumthing.
    Total Reply(0) Reply
  • Humble Mohosin ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩০ এএম says : 1
    মাশাল্লাহ কত সুন্দর কথা।আল্লাহর খাটি বান্দারা আল্লাহর আইনের কথাই বলবে ইসলামিক আইন অনুযায়ী সরকার হবে।এখানে কারো কোনো নিজের মনের আইন চলবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Khaer Julhas ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩১ এএম says : 0
    কুরআন ও সুন্নার আলোকে দেশ চলুক সেটাই ভাল... তবে নারীদের পর্দার ভিতরে থেকেউ যাতে শিক্ষিত হতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া উচিৎ হবে কারন একজন শিক্ষিত মা একটা শিক্ষিত জাতী উপহার দিতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Ulad Hasan ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩২ এএম says : 0
    গণতন্ত্র রাজতন্ত্র মানুষের ঘরে সংবিধান কোন কিছুর জায়গা না দেয়াই ভালো একমাত্র সরিয়া আইন চলবে মানুষের ঘরা কোন আইন জায়গা না দেয়াই ভালো
    Total Reply(0) Reply
  • Uttam Sarker ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩২ এএম says : 0
    মুসলিম দেশে মুসলিম রিতিতে মুসলমান চলবে মুসলিম নীতিতে। আমি আফগানিস্তানের কথা বলছি। বিশ্ববাসীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, যেহেতু এই দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৯৳•৭৫% ভাগ মানুষই মুসলিম, অতএব অন্ততপক্ষে একটি দেশকে সম্পুর্ণ রূপে কুরানের আইন অনুযায়ী চলতে সবাই সহযোগিতা করুন। আমি বিশ্ববাসীর কাছে পুণরায় বিনীতভাবে অনুরোধ করছি! এখানে কোনো ইহুদী, খৃষ্টান ,বৌদ্ধ কিংবা হিন্দু ,কারো সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপক অগ্ৰহন যোগ্য! একেবারে গ্ৰহনযোগ্য নয়!! দয়াকরে ,সমগ্ৰ বিশ্ববাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • N A Robin ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৩ এএম says : 0
    ইসলামী শরীয়া আইন মানে কঠোর না! ইসলামী শরীয়া আইন হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যে ব্যবস্থার মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতি সুন্দর সুশৃংখলভাবে বসবাস করতে পারবে। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই সমান ভাবে বসবাস করবে সবাই ন্যায্য অধিকার পাবে এটাই আমাদের ইসলামী শরীয়া আইন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mostafizur Rahman ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৩ এএম says : 0
    গণতন্ত্র হচ্ছে মূর্খদের রাজত্ব। অধিকাংশ লোকই মূর্খ, গণতন্ত্রের অছিলায় এই মূর্খরাই রাজত্ব কায়েম করে। - এরিস্টটল।
    Total Reply(0) Reply
  • Sabbir A. Khan ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৪ এএম says : 0
    এমন একটা সরকার তৈরী করুক যেটা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় হবে। যেন ঐ সরকারকে সবাই মডেল ভাবতে পারে। দোয়া রইলো
    Total Reply(0) Reply
  • Scm Akash Ahmed ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৪ এএম says : 0
    আফগানিস্তান নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিবে ins-sha-allah যদি ইসলামি শরিয়াহ মতাবেক সব কিছু হয়। কারণ, আমার জানা মতে ইসলামই একমাত্র প্লাটফর্ম যেখানে নারীরা সম্পুর্ন নিরাপদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Joynal Khan Joy ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৬ এএম says : 0
    আশা করি এর মাধ্যমে ইরানের মতো, সাময়িক ও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হবে দেশটি।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Shahab Uddin ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৭ এএম says : 1
    নির্যাতন আর নিপিরনের একমাত্র হাতিয়ার হল গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে আছে মুখে মধু আর অন্তরে বিষ পোষন করে ফাঁকা বুলির ভাণ্ডার। দরিদ্রকে আরো দরিদ্র করা,নির্যাতিতাকে আরো নির্যাতন করা, বাক স্বাধীন বলে নাস্তিকবাদী কার্যকলাপ প্রতিষ্ঠা করা,আর সুশীল নারী সমাজকে পর্দা ছেড়ে বেহায়াপনা বেশে বেরিয়ে পরার সকল তন্ত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • Moniru Zzaman ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৭ এএম says : 0
    বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করে একটি কথাই পাওয়া যায় যে, ইসলামের শ্বাসন আমল ই ছিল সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল যেটা নবী সাঃ ও চার খলিফার সময় ছিল। ইসলামের সেই খেলাফতের যুগ ছিল স্বর্ণের যুগ যেটা না ছিল এর আগে ও পারে। গণতন্ত্র বলি আর যে তন্ত্রই বলি মানুষ রচিত কোন তন্ত্র মন্ত্র এখন পর্যন্ত সেই আমলের ধারে কাছেও যেতে পারেনি আর পারবেও না। সবার উচিৎ হবে এদের এই সুযোগ দেয়া এবং তাদের সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা। যদি তারা ইসলামের সঠিক খেলাফত অর্থাৎ কুরআন সূন্নাহ ভিত্তিক শ্বাসন ব‍্যবস্হা কায়েম করতে ব‍্যর্থ হন তাহলে সবাই মিলে বিরোধীতা করা হবে। আল্লাহ্ র আইনের শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র সকল মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে এটাই সঠিক ঈমানদারের বিশ্বাস।
    Total Reply(0) Reply
  • aakash ২০ আগস্ট, ২০২১, ৯:৪০ এএম says : 0
    Do you know the source of Taliban's income? It's purely drugs ... yes only drugs.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তালেবান

১০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ