এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) এলিট রেফারি প্যানেলের জন্য ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেছেন সালমা আক্তার মনি। তবে ফেল করেছেন জয়া চাকমা। আগের বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সালমা। আর বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের জামশেদপুরে অনুষ্ঠিত ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল করেছেন জয়া। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষায় ভারত রয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অনুরোধে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) জামশেদপুরে জয়ার ফিটনেস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। তবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় এএফসি এলিট প্যানেলে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন জয়া চাকমা। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বাফুফের রেফারি প্যানেলের প্রধান আজাদ রহমান বলেন, ‘তাত্ত্বিক পরীক্ষায় জয়া ও সালমা দুজনেই ভালো করেছিল। কিন্তু সালমা ফিটনেস পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও ব্যর্থ হয়েছেন জয়া। ফলে এএফসি এলিট প্যানেলে থাকতে পারছেন না তিনি।’

জয়া চাকমা রেফারি ও সালমা আক্তার মনি সহকারি রেফারি। জয়া এলিট প্যানেলে থাকতে পারলে সহকারি রেফারির ম্যাচ বরাদ্দও বাড়তো। নারী রেফারির ফিটনেস পরীক্ষা দুই পর্বের। প্রথম পর্বে ৪০ মিটার স্প্রিন্ট ছয়বার। এই পর্বে জয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্প্রিন্ট শেষ করেন। এই পর্ব শেষ হওয়ার ৮ মিনিটের মধ্যে শুরু হয় ল্যাপ (চক্কর)। ফিফা রেফারিতে উত্তীর্ণ হতে ১০ চক্কর বাধ্যতামূলক আর এএফসি এলিট প্যানেলে যেতে হলে দশের অধিক চক্কর দিতে হবে। জয়া নূন্যতম দশ চক্করই শেষ করতে পারেননি। তিনি কাল ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করলে এএফসি এলিটের পাশাপাশি আগামী বছর ফিফা রেফারির জন্য বিবেচিত হতেন। এখন ব্যর্থ হওয়ায় ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য ফের ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে জয়াকে। আজাদ রহমান জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিফা ফিটনেস পরীক্ষা সফলভাবে শেষ করতে হবে জয়াকে। এই পরীক্ষা বাংলাদেশে এসে দিতে হবে তাকে। যদি এই ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হন তাহলে ফিফা রেফারির স্বীকৃতি হারাবেন বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল রেফারি জয়া চাকমা।