মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের আকাশপথ ধরে ইউরোপের সীমান্তে ঢোকা। তালেবানের কবলে পড়া কাবুলের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না বহু দেশ। যার জেরে ভারতের আকাশপথ থেকেও বিমান ঘুরিয়ে নিচ্ছে সংস্থাগুলি। সেটা হলে অচিরেই বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। -আনন্দবাজার ও ডয়েচে ভেলে
বস্তুত সাম্প্রতিক সময়ে বহু বিমান সংস্থাই আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে চাইছে না। কোনো কোনো দেশ ইতোমধ্যেই দেশের বিমান সংস্থাগুলিকে যাত্রাপথ বদলের নির্দেশ দিয়েছে। মুশকিল হলো, যাত্রাপথ বদলালে বহু বিমান ভারতের আকাশপথও ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের সম্পূর্ণ অন্য রাস্তা নিতে হবে। যার জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এতদিন বহু বিদেশি বিমান দিল্লি হয়ে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের উপর দিয়ে ইউরোপে ঢুকে যেত। ভারতের আকাশ সীমা ব্যবহারের জন্য তারা বিপুল অঙ্কের মাশুল দিত। কিন্তু রুট পরিবর্তন হলে তারা ভারতের এয়ারস্পেসে ঢুকবে না। বস্তুত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু বিমান কলকাতার উপর দিয়েও যাতায়াত করে। সেই বিমানগুলিও রুট বদলাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের আরেক কর্তার বক্তব্য, ইতোমধ্যেই বহু বিমান রুট বদলেছে। আফগানিস্তানের আকাশপথ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা দিল্লি এবং এবং পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করছে। কিন্তু তাতে তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই পুরোওয়া রুট বদলে নের পরিকল্পনা করছে। এর আগে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বেশ কিছুদিন পাকিস্তানের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়েও দিল্লির উপর দিয়ে যাওয়া বিমান যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। তবে সে ঘটনা ছিল সাময়িক। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অনেক জটিল। আদৌ সেখানকার আকাশপথ অদূর ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এবং সে কারণেই বহু বিমান সংস্থা নতুন রুট তৈরির পরিকল্পনা করছে। কোনো বিমান যখন অন্য দেশের আকাশসীমায় ঢোকে তখন সেই দেশ তাকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) পরিষেবা দেয়। তার বিনিময়ে বিমানসংস্থা ওই দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে মোটা টাকা দেয়। এর থেকে বড় লাভ হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।
ভারতের ভয়, তালেবানের ভয়ে তাদের সেই রোজগার অনেকটাই কমতে পারে। এমনিতেই করোনার কারণে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র জানাচ্ছে, ভারত হয়ে পাকিস্তানে ঢোকা বিমানের সংখ্যা অন্তত ৬০ শতাংশ কমে গেছে। তালেবান সমস্যার জেরে সেই সংখ্যা ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। বহু বিমান ইতোমধ্যেই ভারত-পাকিস্তানের আকাশ ছেড়ে চীনের আকাশ ব্যবহার করছে। ওই পথেই আমেরিকা এবং ইউরোপে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো বিমান সংস্থা এই রুটের বিমান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছে। কারণ করোনায় বিমান সংস্থাগুলিরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ফলে সাময়িক রুট বদলে তারা ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে চাইছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।