মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তান থেকে মাথা নত করে ২০ বছর পর ফিরে গেলো মার্কিন সেনারা। আফগানিস্তানে ২০০১ সালে আগ্রাসনের পর যুদ্ধে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি ডলার (এক কোটি ৯০ লাখ কোটি টাকার বেশি) খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইন্সটিটিউটের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্সটিটিউটের বিশেষ 'কস্ট অব ওয়ার' প্রকল্পের অধীন এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোট খরচের মধ্যে প্রায় এক লাখ কোটি ডলার (৮৪ লাখ কোটি টাকা) সরাসরি যুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খরচ করে।
অপরদিকে যুদ্ধের ফলে ঋণের সুদবাবদ ৫৩ হাজার কোটি ডলার (চার লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ হয়।
আফগানিস্তানের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণে ও অস্ত্র সজ্জিত করায় ২০০২ সালের মে থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত আট হাজার আট শ' কোটি ডলার (সাত লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ করা হয়।
আফগান সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীতে মোট তিন লাখ সদস্য কর্মরত ছিলো।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় রোববার কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
সূত্র : আলজাজিরালিড
যুক্তরাষ্ট্রের আফগান যুদ্ধে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি ডলার খরচ
অনলাইন ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে মাথা নত করে ২০ বছর পর ফিরে গেলো মার্কিন সেনারা। আফগানিস্তানে ২০০১ সালে আগ্রাসনের পর যুদ্ধে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি ডলার (এক কোটি ৯০ লাখ কোটি টাকার বেশি) খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইন্সটিটিউটের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্সটিটিউটের বিশেষ 'কস্ট অব ওয়ার' প্রকল্পের অধীন এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোট খরচের মধ্যে প্রায় এক লাখ কোটি ডলার (৮৪ লাখ কোটি টাকা) সরাসরি যুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খরচ করে।
অপরদিকে যুদ্ধের ফলে ঋণের সুদবাবদ ৫৩ হাজার কোটি ডলার (চার লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ হয়।
আফগানিস্তানের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণে ও অস্ত্র সজ্জিত করায় ২০০২ সালের মে থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত আট হাজার আট শ' কোটি ডলার (সাত লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ করা হয়।
আফগান সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীতে মোট তিন লাখ সদস্য কর্মরত ছিলো।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় রোববার কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
সূত্র : আলজাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।