নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের ফুটবলে প্রথম নারী রেফারি হিসেবে মাঠে নেমে ইতিহাস গড়লেন সালমা আক্তার। ঘরোয়া সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সোমবার বিকালে ছিল উত্তর বারিধারা ক্লাব ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের মধ্যকার ম্যাচ। কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সালমা। বিপিএলে প্রথম নারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখালেন তিনি।
ম্যাচ পরিচালনা শেষে নিজের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে সালমা বলেন, ‘শুরুতে একটু নার্ভাস লাগছিল। প্রথমবার দায়িত্ব পালনের সুযোগ বলেই হয়তো এরকম লেগেছে। কিন্তু কিক অফের বাঁশি বাজতেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। ছেলেদের ম্যাচে রেফারিং করে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হলো আমার।’ ২৩ বছর বয়সী এই নারী রেফারি যোগ করেন,‘আসলে রেফারিং পেশায় আসতে শুরু থেকেই পরিবার, বন্ধুসহ সবার সহযোগিতা পেয়েছি। ফলে এ পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব একটা কষ্ট হয়নি।’
২০১২ সালে রেফারিং কোর্স শেষে পরের বছরই নারী ফুটবলে দায়িত্ব পালন শুরু করেন সালমা। চলতির বছরের জানুয়ারিতে ফিফার সহকারী রেফারি হন তিনি। নেত্রকোনার মেয়ে সালমা তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ইডেন কলেজ থেকে ইতোমধ্যে স্নাতক করছেন তিনি। ফুটবলকে ভালবাসেন বলেই জড়িয়েছেন এ খেলায়। তার কথায়,‘আসলে খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল খেলার সুযোগ ওভাবে পাইনি। কিন্তু খেলাটির সঙ্গে থাকতে চেয়েছি সবসময়। এ কারণেই রেফারিংয়ে আসা। আমাদের ওখানে মেয়েদের ফুটবল দল ছিল না, ফলে খেলার সুযোগ পাইনি। আমাদের দেশে তো নারী রেফারি বেশি নেই। ছোটবেলা থেকেই চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত আমি। তাই সবার সহযোগিতা নিয়ে এই চ্যালেঞ্জিং পেশায় আসা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।