পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে নিহতের ভাই আমিনুল হক বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে নিহত হারুন মোল্লার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় অংশ নেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ভিপিসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান বলেন, আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লা একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি বিগত ২০১১ ও ২০১৬ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি থেকে আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তিনি একজন শক্ত প্রার্থী ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড দাবি করে তিনি এ খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে মানুষ শঙ্কিত। তিনি দ্রæত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে স্থানীয় পশ্চিম তালতলা নামক স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করে ও নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান বলেন, নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৪০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি খতিয়ে দেখে মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। শুক্রবার রাতেই পুলিশ আন্ডার ইউনিয়নের ওই এলাকায় অভিযান চালায়। গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকার পুরুষরা অন্যত্র পালিয়ে গেছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, হারুন মোল্লা হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি নিয়ে কাজ করছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।