Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুকন্যা হত্যার দায়ে মা কারাগারে

ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৮:০২ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের বহুল আলোচিত ১৯ দিনের শিশু রাবেয়া বসরী হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। শিশু কন্যা হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম রোকেয়া আক্তারের আদালতে ওই স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দেন ঘাতক মা রহিমা আক্তার রত্মা (২০)। ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে নিহত শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বড় ছেলে মুজিবুর রহমান ও মেঝ ছেলে সজিবুর রহমান প্রবাসে থাকেন। বড় ছেলে ঠিকমতো বেতন পান না। মেঝ ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে বিদেশের হাসপাতালে আছে। অস্বচ্ছল সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরাতে আমি এখনো মাঠে কাজ করি। অন্য দিনের মতো গত বৃহস্পতিবারে জমিতে কাছ করতে যাই। বাড়িতে এসে শুনি ১৯ দিনের নাতনি রাবেয়া বসরীকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে থানায় গিয়েও সাধারণ ডায়রী করা হয়েছিল। পরদিন শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে খালের পানিতে আমার নাতনির লাশ ভেসে ওঠে। এ খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে আসেন এবং লাশের সাথে আমাদের সকলকে থানায় নিয়ে যায়। সকলের সাথে এ বিষয়ে আলাপ শেষে আমাদেরকে ছেড়ে দিলেও আমার পুত্রবধূ রহিমা আক্তার রত্মার লড়চর কথায় তাকে থানায় রেখে দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে শুনতে পারলাম, সে নাকি স্বীকার করেছে যে, সে নিজেই আমার নাতনিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। তবে, গত এক সপ্তাহ যাবত রত্মা একা একা বসে থাকতো। আমাদের সাথে তেমন বেশী কথা বলতো না। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও কোন উত্তর দিত না।

মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বৃহস্পতিবারেই শিশুটি না পাওয়ার ঘটনায় তাৎক্ষনিক তার বাড়িতে যাই। শুরুতেই শিশুটির মা রত্মা একেক সময় একেক কথা বলছেন। তার মানুষিক অস্থিরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে সে স্বীকার করেছে, নানান টেনশনে পড়ে জিদ করে কন্যাকে পানিতে ফেলে দিয়েছে। যা আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে বলেছেন সে। এ ঘটনায় শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া মামলার বাদী হয়েছেন। শিশুটির ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

 



 

Show all comments
  • মোঃ আকতার হোসেন মীর ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৯:৪৪ পিএম says : 0
    মা কিভাবে এত জগন্য হয় ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ