নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে ধারাশায়ী হলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাইফ ৩-২ গোলে হারায় আবাহনীকে। বিজয়ী দলের হয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইকেচুকু কেনেথ দু’টি ও তার স্বদেশী মিডফিল্ডার জন ওকোলি একটি গোল করেন। আবাহনীর পক্ষে দু’গোল শোধ দেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স বেলফোর্ট ও স্থানীয় মিডফিল্ডার জুয়েল রানা।
লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে আগেই। এবার রানার্সআপ হওয়ার দৌঁড়েও সাইফের কাছে হেরে পিছিয়ে পড়লো আবাহনী। শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সাইফ। তবে ধারার বিপরীতে ১৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় আবাহনীই। কিন্তু ফাকা পোস্ট পেয়েও ব্যর্থ হন ফয়সাল আহমেদ শিতল। সাদ উদ্দিনের বাড়ানো লম্বা ক্রস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন জুয়েল রানা। সাইফের ডিফেন্ডাররা বাঁধা দিলেও জুয়েল বল বাড়িয়ে দেন শিতলের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ফাকা পোস্ট পেয়েও বল লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে রাফায়েল অগোস্তোর থ্রু পাস থেকে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। সাইফের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডান পায়ের শট নিলে তা ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন সাইফ গোলরক্ষক পাপ্পু। মিনিট চারেক পর পাপ্পুকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি জুয়েল। তার ডান পায়ের শট সামনে এগিয়ে এসে পা দিয়ে রক্ষা করেন পাপ্পু। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। এসময় অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বাড়ানো বল পেয়ে বাঁ পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন জন ওকোলি। সেখান থেকে তিনি কাট ব্যাক করলে বল পান ইকেচুকু কেনেথ। আলতো ছোঁয়ায় বল জালে ঠেলে দেন কেনেথ (১-০)। মিনিট দুয়েক পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জন ওকোলি। মাঝ মাঠ থেকে রহিম উদ্দিনের পাস ধরে গোল পোস্টের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে লম্বা শটে গোল করেন এই নাইজেরিয়ান (২-০)। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় আবাহনী। সাইফের রক্ষণ ভাগে জটলা থেকে বল জালে জড়ান বেলফোর্ট (১-২)। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সমতা ফেরে আকাশী হলুদরা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দিপক রায়ের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে ফাকা জায়গায় দাঁড়ানো জুয়েল রানা সহজেই শটে গোল করেন (২-২)। জয়ের স্বপ্নে বিভোর হয় আবাহনী। কিন্তু তাদের স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন ইকেচুকু কেনেথ। ম্যাচের ৮১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ফাহিমের মাটি ঘেঁষা ক্রস থেকে পাওয়া বল দুর্দান্ত শটে দুরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান কেনেথ (৩-২)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাইফ।
২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই থাকল সাইফ। ২১ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে জায়গা পেল আবাহনী। এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল ৪২ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।