নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্যারিসের বিলাসবহুল হোটেল- লা রয়্যাল মনচিআও। কাতারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কাতারা হসপিটালিটির মালিকানাধীন এই পাঁচ তারকাবিশিষ্ট হোটেলটি প্যারিসের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। ফরাসি ক্লাব পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেস থেকে হোটেলটির দূরত্বও মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।
১৯২৮ সালে যাত্রা শুরু করা এই হোটেল প্যারিসে শিল্পী, সেলিব্রিটি ও বুদ্ধিজীবীদের দেখা করার জন্য আদর্শ জায়গা। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, হলিউডের প্রখ্যাত সিনেমা প্রযোজক ওয়াল্ট ডিজনি ও অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোও থেকে শুরু করে পৃথিবীর নামকরা অনেক সেলিব্রিটির ছোঁয়া পাওয়ার পর লা রয়্যাল মনচিআ এবার ছোঁয়া পেয়েছে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা সন্তানেরও। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর বিলাসবহুল এই হোটেলেই পরিবারসহ উঠেছেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। যদিও সতীর্থ সার্জিও রামোস অনুরোধ করেছেন তার বাসায় থাকতে, কিন্তু মেসি আপাতত এ হোটেলেই থাকছেন। বাসা খুঁজে পাওয়ার আগে এই পাঁচ তারকা হোটেলেই থাকতে হবে মেসিকে।
গতপরশু প্যারিসের বিখ্যাত এই হোটেলটি নিজেদের অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে মেসির আগমনের একটি ভিডিও পোস্ট করে। সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ডের নাম সম্বলিত পিএসজির জার্সির ছবি পোস্ট করে তারা সেখানে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে পিএসজিতে স্বাগতম জানানোটা আসলেই গৌরবের।’ ফরাসি সংবাদমাধ্যম এল একুইপে জানিয়েছে, হোটেলটির সর্বনিম্ন ভাড়া প্রায় ৭০০ পাউন্ড। তবে পরিবার নিয়ে থাকায় এ হোটেকে প্রতি রাতে লিওনেল মেসিকে খরচ করতে হবে প্রায় ১৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ২০ লাখ টাকার মতো।
সুস্বাদু স্টকের জন্য বিখ্যাত এই হোটেলে মেসিদের জন্য সেখানে আলাদা ২৩ মিটার লম্বা সুইমিং পুল (প্যারিসে হোটেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়), সিনেমা দেখার ব্যক্তিগত জায়গা ছাড়াও ছয়টি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট রয়েছে এ হোটেলে। সুস্বাদু স্টকের জন্য বিখ্যাত মাতসুইশা রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান খাবার জায়গা। জাপানিজ থেকে পেরুভিয়ান রসুইঘরের খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে। এছাড়া হোটেলটিতে প্রায় সময়ই নানা রকম চিত্র প্রদর্শনী হয়ে থাকে। একঘেয়েমি কাটাতে এসব প্রদর্শনীতে সময় কাটাতে পারে মেসি ও তার পরিবার। মেসির বর্তমান ক্লাব সতীর্থ ও বন্ধু নেইমারও বার্সেলোনা ছেড়ে ২০১৭ সালে তিনি পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সময় এই রয়্যাল মনচিআও হোটেলেই ছিলেন। প্যারিসের সবচেয়ে বিলাসবহুল অঞ্চলে অবস্থিত মনচিআও হোটেল।
পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন মেসি। চাইলে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে পারবেন বার্সেলোনার সাবেক এ ফরোয়ার্ড। বেতন-ভাতা মিলিয়ে ক্লাবটিতে বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো পারিশ্রমিক পাবেন তিনি। পিএসজিকে খেলোয়াড়দের বার্ষিক বেতন বাবদ প্রচুর অর্থই খরচ করতে হচ্ছে- ২৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। মেসির মতো খেলোয়াড়ের পেছনে তার হোটেল-খরচ বাবদ পিএসজি এত টাকা খরচ করতেই পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।