বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘুমন্ত রাবেয়াকে (১৯ দিন) ঘরে রেখে মা বাহিরে টিউবওয়েলে গেলেন কাজ করতে। ১০ মিনিট পরে এসে দেখেন শিশু মেয়েটি নেই। ঘটনাস্থলেই মায়ের সুর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন জড়ো হয়। একমাত্র কন্যা সন্তানকে হারিয়ে মা পাগল প্রায়। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শিশুটির মা রহিমা আক্তার রত্না অশ্রুসজল চোখে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় আমার শ্বশুর বাচ্চু মিয়া শাশুড়ি রহিমা খাতুন, দেবর ইয়াকুব আলী ও ননদ হালিমা আক্তারকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করতে যায়। শিশু রাবেয়া ঘুমিয়ে যাওয়ায় ভাবলাম ঘরের কাজগুলো সেরে ফেলি। তাই কাপড়-চোপড় ধৌত করতে ঘরের পাশে টিউবওয়েলে যাই। প্রায় ১০ মিনিট পরে ঘরে এসে দেখি আমার ঘুমন্ত রাবেয়া নেই। এ অবস্থায় আমার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন জড়ো হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে থানায় এসেছি।
শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার প্রবাসী ছেলে মুজিবুর রহমানের একমাত্র সন্তান রাবেয়াকে নিয়ে আমরা খুব আনন্দে দিন কাটাতাম। অনেক বছর পরে পরিবারে নতুন অতিথির আগমনে আমাদের মধ্যে আনন্দের কমতি ছিল না। শেষ বয়সে এমন মর্মান্তিক বিষয় মেনে নিতে পারছি না। এমন সর্বনাশ কে করলো গো বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শিশুকে না পেয়ে মা রহিমা আক্তার রত্না থানায় এসে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা শিশুটি উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টায় আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।