প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ! অভিনেতার সাম্প্রতিক একটি ছবির জন্যই এমন সন্দেহের কারণ ঘটেছে নেটিজেনদের। আসলে হঠাৎ করেই লুক বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা দিয়েছেন রুদ্রনীল। ক্লিন শেভ থেকে সোজা এক মুখ কাঁচাপাকা দাড়ি নিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আগামীর জন্য তৈরি’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা জানিয়েছেন, এই লুক তার আগামী প্রোজেক্টের জন্য। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের এক ছাত্র জয়ব্রত পরিচালনা করবেন সেই ছবি। নতুন ছবি মানে রাজনীতি কি ছাড়ছেন নাকি রুদ্রনীল? প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিলেও তার বক্তব্য, যারা রাজনীতি মনস্ক তারা রাজনীতি ও পেশাকে পাশাপাশি নিয়েই চলে।
তবে এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিনেতাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। প্রশংসার পাশাপাশি রুদ্রনীলকে নিয়ে ঠাট্টাও চলছে। অনেকেই লিখছেন, নতুন লুকে নতুন পার্টি। আবার অনেকে রুদ্রনীলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর লুকের উদাহরণ টানছেন। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না রুদ্রনীল। উল্টো এসবকে পাত্তা না দিয়ে অভিনয়ের দিকেই তার এখন মন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেভাগে দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। বিজেপিতে যোগদানের আগে থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিলেন অভিনেতা। ভবানীপুরের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রে বিরোধী দল তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। আত্মবিশ্বাসও যথেষ্ট ছিল জেতা নিয়ে। কিন্তু ফল বেরোতে দেখা গেল গো হারা হেরেছেন অভিনেতা।
এদিকে রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকেই অনেকে মনে করেছিলেন অভিনেতা হিসেবে রুদ্রনীলের ক্যারিয়ার এবার ধ্বংসের মুখে। যদিও সেই সময় রুদ্রের হাতে ছিল অজয় দেবগণের সঙ্গে বলিউডি ছবি ‘ময়দান’। করোনার জন্য সে ছবির শুটিংয়েও বিরতি পড়েছে। তারপর তো বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা সময়, নানা মন্তব্য করে বিতর্কে বার বার উঠে আসেন রুদ্রনীল। বহুবার তার মন্তব্য ভাইরালও হয়। নেটিজেনদের কুনজরেও পড়েছিলেন তিনি। এ সবের মাঝখানেই নিজের পরবর্তী ছবির ঝলক দিয়ে ফেললেন অভিনেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।