Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চেন্নাইয়ের এক ব্যক্তির শরীরে পাঁচ কিডনি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২১, ৩:১৭ পিএম

এক জন মানুষের শরীরে দু’টি কিডনি থাকে। কিন্তু বিষয়টা খুবই আশ্চর্যের মনে হলেও চেন্নাইয়ে এক ব্যক্তির শরীরে পাঁচটি কিডনি রয়েছে! তৃতীয় বার কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ায় ওই ব্যক্তি এখন পাঁচ পাঁচটি কিডনির ‘অধিকার ‘।

জানা গিয়েছে, বছর একচল্লিশের ওই ব্যক্তির যখন ১৪ বছর বয়স ছিল সেই সময় তার দু’টি কিডনিই খারাপ হয়ে যায়। ১৯৯৪ সালে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু নয় বছরের মধ্যে সেই কিডনিও বিকল হয়ে যায়। ফলে ২০০৫ সালে তার কিডনি ফের প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। ১২ বছর ধরে সেই কিডনি নিয়েই দিব্যি সুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ফের গোলযোগ শুরু হয়। তার ডায়ালিসিস শুরু হয়।

চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন উচ্চ রক্তচাপের কারণেই বার বার কিডনি বিকল হচ্ছে ওই ব্যক্তির। তার মধ্যে ওই ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ায় বাইপাস সার্জারিও করতে হয়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। চিকিৎসকদের কাছে একটা রাস্তাই খোলা ছিল। ফের কিডনি প্রতিস্থাপন। কিন্তু সেখানেও একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় চিকিৎসকদের।

চিকিৎসক এস শ্রবণ জানান, ওই ব্যক্তির দেহে নিজের দু’টি কিডনি আগে থেকেই ছিল। সেগুলো খারাপ হওয়ায় পরে দান করা আরও দু’টি লাগানো হয়। তিনি আরও জানান, চারটি বিকল কিডনি শরীরে থাকার কারণে পঞ্চম কিডনি লাগানোর জায়গা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, নতুন কিডনি ধমনীর সঙ্গে জোড়ার কাজও কঠিন ছিল। চারটি বিকল কিডনি থাকার ফলে আর বিশেষ জায়গা ছিল না। পঞ্চম কিডনিকে শিরা এবং ধমনীর সঙ্গে জোড়া লাগানো খুব ঝুঁকির ছিল।

আবার বাকি চারটি বিকল কিডনি অস্ত্রোপচার করে বার করলেও অতিরিক্ত রক্তপাতের আশঙ্কা দেখা দিত। তাই চিকিৎসকরা স্থির করেন চারটি বিকল কিডনির পাশেই পঞ্চম কিডনি প্রতিস্থাপন করবেন। শেষমেশ সেটাই করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি আপাতত সুস্থ রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে সে দিকে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক শ্রবণ। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ