নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে বিচ্ছেদের অনলে পুড়ছেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। সে অনল নিভিয়ে দিতে কাঁদলেন অঝোরে। বার্সেলোনায় নিজের শেষ সংবাদ সম্মেলনে শহর ও ক্লাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে এভাবেই কাঁদলেন তিনি।
মেসির কান্নার সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে অনেকে আবেগে ভেসেছেন। প্রিয় খেলোয়াড়ের জন্য ভালোবাসা ছুঁয়ে যাচ্ছে ফুটবল ভক্তদের। বিচ্ছেদের অনলের এই উষ্ণতা হৃদয় ছুঁয়েছে সবার।
বার্সেলোনার নু ক্যাম্পে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে রোববার কাঁদতে কাঁদতে মেসি বললেন, এখন যখন বাড়ি ফিরব, আরও খারাপ লাগবে। তিনি বলেন, "আমি কখনো ভাবিনি যে এভাবে বিদায় নিতে হবে। এখানকার সবাইকে মনে থাকবে আমার। যে ভালোবাসা এখানে আমি পেয়েছি তার সাথে কোনকিছুর তুলনা হয়না। বিদায়ের সময় আমার দর্শকদের পাইনি আমি এটা আমার জন্য কষ্টদায়ক, আমি পুরো ন্যু কাম্পে মানুষের কাছে থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলাম।"
ফেসবুকে কমেন্ট ঘরে মেসিকে লাখো ভক্ত শুভকামনা ও ভালোবাসায় ভাসিয়েছেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আব্দুর রহিম লিখেছেন, ‘‘অসাধারণ মুহুর্ত।আমার মনে হয় না আগে আর কখনো অন্য কোন খেলোয়াড়ের বেলায় এমনটি ঘটেছে। মেসিও কান্দে!!!ভালোবাসার কাছে টাকা-পয়সা,জনপ্রিয়তা সবই তুচ্ছ।শুভকামনা রইল মেসির জন্য।আশা করি যেখানেই খেলুক এভাবে সবার মন জয় করবে।’’
আহমেদ আফফান লিখেছেন, ‘‘হৃদয়ের তলদেশে জমাট বাঁধা মেঘ অশ্রুসিক্ত হয়ে ঝরে প্রমান করে দিল মেসি বার্সেলোনা এবং পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা দলের সমর্থকের জন্য জীবন উৎসর্গ করে খেলেছে।হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা শুধুই বার্সার জন্য।তাইতো বার্সার দুর্দিনে টাকা-কড়ির মূল্যায়ন না করেই শৈশবের ক্লাবে খেলার ইতি টানতে চাই ছিলো কিন্তু এখানেও বার্সা মেসি নিরূপায়। ক্ষণজন্মা কালজয়ী ফুটবলার মেসি যেখানেই যাও-তোমার জন্য শুভকামনা।’’
রোদ্দুর হিম লিখেছেন, ‘‘সত্যিই খুব কষ্টের। যেখানে মেসি ২১ বছর ধরে ছিলো, সেখান থেকে আজকে চলে যাওয়া খুবই কষ্টের। মেসির এই কান্না প্রতিটি ফুটবলার থেকে শুরু করে প্রতিটি ফুটবল প্রেমির মনের মধ্য গেথে থাকবে।বাস্তবতা আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হবে। যাইহোক এবার নেইমার, মেসি, এমবাপ্পের জুটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।’’
এমএ জামান লিখেছেন, ‘‘এই পৃথিবীর মানুষ গুলো আসলেই বৈচিত্রময় মুলত কেউ কারো আপন নয়, শুধু মাত্র মায়ার জালে বন্দি হয়ে আমরা নিজেকে অন্য জনের খুব আপন মনে করি বাস্তবে আপন কেউ নাই ইহাই নিয়ম। অযথা আমরা মায়া কান্নায় হাতড়ে মরি। কিছুই করার নেই নিয়তি যেমনটা রাখছে তেমনটাই হবে।’’
রেদওয়ান আহমেদ লিখেছেন, ‘‘জীবনের প্রথম পথ চলা এই বার্সেলোনা থেকেই বলা যায়।আর তার জীবনের রয়েছে অসীম স্মৃতি মাখানো জীবন এই বার্সেলোনায়।কঠিন তার কঠিন অসুস্থ সম্মুখীন সময় বার্সা তাকে সাহায্য করেছে। এবং সেই সাথে বিশ্বসেরা ফুটবলার হয়েছে এই বার্সেলোনার জন্য-ই।ইত্যাদি।আর সেখানে থেকে হঠাৎ করে বিদায় নেওয়া হৃদয়ের রক্তক্ষরণ এর মতই।তাই তিনি অঝর কেদে ফেললেন।’’
আর এস রিপন লিখেছেন, ‘‘একজন ভালো খেলোয়াড় হিসাবে তাঁর প্রতি ভালোলাগা ভালোবাসা ছিলো আগে থেকেই।আর আজকের তাঁর মানবিক নৈতিকতায় তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ আরো বেড়ে গেল।শুভ কামনা নিরন্তর।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।