মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। ফলে শীতের পর নতুন করে আবার গড়ে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক লাখ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা টিকা নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে শতকরা ৭০.৬ ভাগই কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। অন্যদিকে শতকরা ৬০.৯ ভাগ মানুষ পূর্ণাঙ্গ টিকা নিয়েছেন। এ তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি)। এখনও সেখানে লাখ লাখ মানুষ টিকা নেননি। যেসব রাজ্যে টিকা নেয়ার হার খুব কম সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এমন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিডা ও টেক্সাস। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। এ সপ্তাহে সিএনএনের পরিচালক রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেছেন, আমাদের মডেল বলে, যদি আমরা জনগণকে টিকা না দিই, তাহলে দিনে কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন, যেমনটা হয়েছিল জানুয়ারির শুরুতে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পিক-এ বা সর্বোচ্চে পৌঁছে। এই সংখ্যা আড়াই লাখ। তবে নভেম্বরে গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছিল। সেই সংখ্যা অতিক্রম করতে যুক্তরাষ্ট্রে সময় লাগলো প্রায় ৯ মাস। দিনে সর্বনিম্ন গড় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজারে এসে দাঁড়ায় জুনে। কিন্তু তার মাত্র ৬ সপ্তাহ পরেই সেই সংখ্যা এখন এক লাখ ৭ হাজার ১৪৩। হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যাও দ্রæত বাড়ছে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানাচ্ছেন, টিকা দেয়া এবং হাসপাতালে ভর্তির মধ্যে স্পষ্ট একটি সম্পর্ক আছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, টিকা নেয়া ব্যক্তিরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। মাইক হান্না বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যের গভর্নর টিকা দেয়ায় সমর্থন প্রকাশ করেননি এর আগে। কিন্তু আবার যখন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন তারা মন পরিবর্তন করছেন। কিন্তু মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ আছে। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণের রাজ্যগুলো মুখে মাস্ক পরার পুরো বিরোধী। অন্য রাজ্যগুলো, বিশেষ করে পূর্বের, এখন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। সিডিসির মতে, বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার মার্কিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন যেসব মানুষ, এই সংখ্যা তার প্রায় চারগুন। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কমপক্ষে এক লাখ ২০ হাজার। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে সতর্কতা দিয়ে এসেছেন। তারা বলেছেন, যেসব রাজ্যে টিকা দেয়ার হার খুব কম, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সিডিসি বলেছে, পুরো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে যে পরিমাণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগই ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আলাবামা, মিসিসিপি, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা এবং কেন্টাকির। টেক্সাসের হিউজটনের প্রধান মেডিকেল অফিসার ড. ডেভিড পারসে বলেন, হিউজটন এলাকার হাসপাতালগুলোতে রোগীভর্তি এম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে। এসব রোগীকে এম্বুলেন্স থেকে নামানো যাচ্ছে না। কারণ, হাসপাতালে কোনো বেড ফাঁকা নেই। এর ফলে জরুরি ফোন ৯১১ তে কল দেয়ার পর প্রতিক্রিয়া পেতে নাগরিকদের অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহ বা তারও পরে কি ঘটবে জরুরি বিভাগগুলোতে তা বুঝতে পারছি না। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।