মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাতিল হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১ লাখ চাকরিভিত্তিক গ্রিন কার্ড। আগামী দু’মাসের মধ্যে পদক্ষেপ না করলে সেগুলি চিরতরে নষ্ট হতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে বিপুল ব্যাকলগের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে উদ্বেগের মুখে পড়তে হয়েছে সেদেশে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত ভারতীয়দের। উল্লেখ্য, গ্রিন কার্ড হল মার্কিন মুলুকের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র। এই কার্ড থাকার অর্থই হল কার্ডের ধারক চিরতরে আমেরিকায় বসবাস করবার উপযুক্ত। বছরে সাধারণত ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রিন কার্ড প্রদান করা হয় সেদেশে। কিন্তু এবার সেই কোটা বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০।
যদি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ভিসা ইস্যু না হয়, তাহলে আইনের প্যাঁচে পড়ে সেগুলি চিরতরে বাতিল হয়ে যাবে। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই ১২৫ জন ভারতীয় ও চীনা প্রযুক্তি কর্মী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখনও হোয়াইট হাউসের তরফে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। এতদিন পরে আমেরিকায় গ্রিন কার্ড বণ্টন শুরুর সময়ে ছবিটা কিন্তু একেবারেই আলাদা ছিল। কার্যত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন আবেদনকারীরা। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্যার দিকটি। এই মুহূর্তে যে হারে কার্ড দেওয়া হচ্ছে তাতে অন্তত ১ লক্ষ কার্ড নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। সত্যিই তাই হলে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ হারাবেন বিপুল সংখ্যক অভিবাসীরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনের দাবি, এহেন পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়ার পিছনে বাইডেন প্রশাসনই দায়ী। প্রশাসনিক ধীরগতির কারণেই নষ্ট হতে চলেছে বিরাট সংখ্যক গ্রিন কার্ড। মার্কিন ইতিহাসে এই পরিমাণে গ্রিন কার্ড নষ্টের উদাহরণ খুব বেশি নেই। তবুও কেন উদাসীনতা, সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।