মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মন্দিরের পুরোহিত ও তার সহযোগিরা মিলে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ৯ বছরের শিশুকে শ্মশানঘাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে দিল্লি। টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করছে সেখানকার মানুষেরা। খবর বিবিসির।
এদিকে নিহতের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত একজন পুরোহিত ও তার তিনজন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে।
দিল্লি সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।
তবে বিভিন্ন দলিত সংগঠন বলছে, ধর্ষিতা মেয়েটি যেহেতু দলিত বা নিম্নবর্ণীয় সমাজের তাই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধেও তেমন জোরালো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশ ঘেঁষেই রয়েছে একটি বাল্মিকী বস্তি, যে সম্প্রদায়ের লোকজন মূলত সাফাইকর্মী হিসেবেই জীবন ধারণ করেন।
যে নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে ওই এলাকার বাসিন্দারা সোমবার থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন, সেটি ঘটেছিল তার আগের দিন রাতেই।
নিহত মেয়েটির মা বলছিলেন, "আমরা সেদিন গাঁয়ে গিয়েছিলাম-আর আমাদের বাচ্চা শ্মশানঘাটের ওয়াটার কুলার থেকে খাবার জল নিতে গিয়েছিল। শ্মশানের মন্দিরের পুরোহিত বা পন্ডিতজি আমাদের ফোন করে হঠাৎ খবর দেয়, কুলার থেকে জল নিতে গিয়ে আমাদের মেয়ে নাকি কারেন্ট খেয়ে মারা গেছে। সে রাতেই তাড়াহুড়ো করে ওর সৎকার করে দেওয়া হয়-কিন্তু আমাদের বিশ্বাস পন্ডিতজি আর ওর দলবল আমাদের মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে।"
রাধেশ্যাম নামে মূল অভিযুক্ত ওই পুরোহিতকে সোমবার রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, সঙ্গে আটক করা হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ, কুলদীপ ও সালিম নামে তার তিনজন সঙ্গীকেও। তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ধর্ষণ, হত্যা, ভয় দেখানো ও প্রমাণ লোপাট করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ।
পুরানা নাঙ্গাল নামে ওই এলাকায় অবশ্য এখনও পুলিশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র। অনেকেই বলছিলেন চারজন অভিযুক্তকে পুলিশই জিপে করে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে - এবং তারা গরিব ও বাল্মিকী বলেই বিচার পাচ্ছেন না। কেউ কেউ আবার জানাচ্ছেন, নিহত মেয়েটির মা-বাবাকে থানার ভেতরেই উল্টে মারধর করা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।