মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কঠিন সময়ে তুরস্কের পাশে দাঁড়াল ইইউ। দাবানল নেভাতে তারা তিনটি এয়ার ট্যাঙ্কার পাঠিয়েছে। গত ছয়দিন ধরে দাবানল জ্বলছে। আটজন মারা গেছেন। কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু দাবানল নেভানোর কাজে এখনো সফল হয়নি সরকার।
ইইউ যে তিনটি এয়ার ট্যাঙ্কার পাঠিয়েছে, তার একটি গেছে ক্রোয়েশিয়া থেকে, বাকি দুইটি স্পেন থেকে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর জন্য ইইউ-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাশিয়া, ইরান, ইউক্রেন, আজারবাইজান তুরস্কের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষও দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। দাবানলের জন্য সরকার প্রথমে দায় চাপিয়েছিল কুর্দিদের উপর। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় দাবানল জ্বলতে থাকায় এবং মানুষ মারা যাওয়ায় তারা মনোভাব বদল করতে বাধ্য হয়। যে জায়গায় দাবানলের তাণ্ডব চলছে, সেখানে গত কয়েক মাস ধরে প্রবল খরা দেখা দিয়েছিল। শুরুর দিকে দাবানল মোকাবিলায় সরকারের ঢিলেমি ছিল। তারপর তারা স্বীকার করে, দাবানল নেভানোর মতো উপযুক্ত বিমান তাদের হাতে নেই।
এখন সরকার দাবানল নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে। স্থানীয় মানুষ বাক্সে পানি ভরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বুধবার থেকে তুরস্কে সব মিলিয়ে ১৩০টি জায়গায় আগুন জ্বলছিল। তার মধ্যে এখনো সাতটি বড় আগুন জ্বলছে। তুরস্কের সব চেয়ে বড় বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট ওজকক দাবি করেছেন ‘বনমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে। কারণ, দাবানল নেভানোর কোনো পরিকল্পনা তার ছিল না।’
তুরস্কে প্রবল হাওয়া পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণও খুব কম। যেখানে দাবানল জ্বলছে, সেই অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। দক্ষিণ ইউরোপে দীর্ঘদিন ধরে হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহ চলছে। ইটালি, স্পেন ও গ্রিসও দাবানলের গ্রাসে পড়েছে। গ্রিসে একশটি দাবানল জ্বলছে। গ্রিসের সিভিল প্রোটেকশন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা আর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছি না, আমরা এখন পরিবেশগত বিপদের কথা বলছি। তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাবানল জ্বলছে।’ সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।