মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজধানীর সীমানায় যেমন প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে, ঠিক তেমনই চলবে। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় এবার তাঁবুর খুঁটি পুঁততে শুরু করেছেন নতুন তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামা কৃষকেরা। লক্ষ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের ক্ষোভকে জনতার মধ্যে সঞ্চারিত করে যোগী আদিত্যনাথ তথা বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়া। উত্তরপ্রদেশের কৃষক ফ্রন্টকে নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় কিষাণ মোর্চার প্রধান রাকেশ টিকায়েত নিজেই। গত মাসের শেষে লখনউয়ে মোর্চার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, টিকায়েতের নিজের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গ্রামে গ্রামে এই আন্দোলন জোরদার করা হবে। টিকায়েতের কথায়, আমরা ৫ অগস্ট থেকে মহাপঞ্চায়েত শুরু করব। আন্দোলনের আর এক নেতা যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, উত্তরপ্রদেশের সরকার কথা দিয়েছিল, ধান এবং গমের প্রত্যেকটি দানা কিনবে। কিন্তু ষোলই জুলাইয়ের পর থেকে আর হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না! রাজ্যে উৎপন্ন হয় প্রায় তিন কোটি টন গম। কিন্তু মাত্র বাষট্টি লাখ টন গম কিনেছে সরকার, যা মোট উৎপাদনের ১৮ শতাংশ মাত্র। সূত্রের খবর, লক্ষে্নৗয়ে স্থায়ী প্রতিবাদী মঞ্চ গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জুড়ে আন্দোলন হবে। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই কৃষক আন্দোলন উত্তরপ্রদেশের জাতপাতের সমীকরণে কী ভাবে প্রভাব ফেলে, সে ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখছে সরকার এবং বিরোধী দল— উভয় পক্ষই। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী খাপ বালিয়ানের প্রতিনিধিত্ব করেন টিকায়েত। ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোট এবং ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই খাপ ঢেলে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ২০২২-এর বিধানসভা ভোটে কৃষক ক্ষোভের মুখে এই ভোটব্যাঙ্ক বিজেপি ধরে রাখতে পারবে কি? ইতিমধ্যেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করেছে মোর্চা। আখ-বলয়ের ভূখন্ডে অনুষ্ঠিত এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে এসপি এবং আরএলডি-র নেতা ও কর্মীদের। মুজফ্ফরনগর, বিজনৌর, বাগপেট ও মথুরার মহাপঞ্চায়েতে যথেষ্ট ভিড় দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী এই সব জমায়েতে। এই এলাকাগুলি ২০১৩ সালের জাঠ-মুসলমান সাম্প্রদায়িক অশান্তির জায়গাও বটে। সম্প্রতি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিজেপি যে ভাবে তাদের আন্দোলনকে আক্রমণ করছে, তা থেকেই তাদের কৃষক-বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গেছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিবাদী কৃষকদের “আয়াশজীবী” হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বক্তব্য, কর্পোরেট মিডিয়া এবং বিজেপি সরকারের এই মরিয়া প্রচেষ্টায় তাদের আন্দোলন দুর্বল হবে না, বরং আরও শক্তিশালী হবে। সম্প্রতি বিজেপির উত্তরপ্রদেশ শাখার সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু কার্টুন পোস্ট করা হয়। মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষক-বিরোধী মনোভাবই যে ভারতীয় জনতা পার্টির মূল ভিত্তি, তাদের এই সোশ্যাল মিডিয়া কার্টুনগুলি থেকেই স্পষ্ট। তাদের বক্তব্য, শাসক দলের পক্ষ থেকে, এবং তা-ও আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নামে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী কৃষকদের প্রতি হুমকি অত্যন্ত আপত্তিকর ঘটনা। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।