মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিন্ধ প্রদেশের সরকার আরোপিত করাচিসহ সিন্ধের দক্ষিণ অংশে লকডাউনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘ক্ষুধার্ত মানুষকে এভাবে লকডাউনে রাখা যায় না’।
টেলিফোনে সরাসরি প্রশ্নোত্তরের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেছেন। করোনার পূর্ববর্তী তিনটি ঢেউয়ের সময় সরকারকে সহযোগিতা করায় দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলমান চতুর্থ ঢেউয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এরপর সিন্ধ প্রদেশের লকডাউন প্রসঙ্গ তুলে বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় শনিবার থেকে সিন্ধ প্রদেশে আংশিক লকডাউন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
ইমরান খানের প্রশ্ন, ‘সিন্ধ সরকার লকডাউন চায়। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত এবং এতে ভাইরাসের বিস্তার কমবে। কিন্তু লকডাউনে কি অর্থনীতি বাঁচবে? এরমধ্যে রয়েছে ক্ষুধা। দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ লকডাউন চলাকালে কীভাবে জীবন নির্বাহ করবে?’
আচমকা লকডাউন আরোপে ‘ভারতে বিপর্যয়’ তৈরির উদাহরণ টেনে সিন্ধ সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আগে আপনাদের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত কখনও লকডাউন করতে পারেন না।
পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (ভারতীয়) সরকার জনসাধারণের জন্য কিছু না ভেবেই একবারে লকডাউন জারি করেছে। তারা কেবল আমাদের মতো উচ্চবিত্ত এবং অভিজাতদের কথা ভেবেছিল। কিন্তু আমরা তো এভাবে ভাবতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিন্ধ সরকারের জানা উচিত যে, যখন আপনি লকডাউন চাপিয়ে দিচ্ছেন তখন আপনি অনেক মানুষকে ক্ষুধার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। যদি তাদের খেতে দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তবে আপনি ক্ষুধার্ত মানুষকে লকডাউনের অধীনে রাখতে পারবেন না।’
গত শুক্রবার সিন্ধ প্রদেশে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি-শাহ বলেছেন, হঠাৎ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা দেওয়ায় প্রাদেশিক রাজধানী শহর করাচির হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে।
চলতি মাসে ইদুল আজহাসহ ব্যাপক হারে জনসমাগম হয় এমন নানা উৎসব-আয়োজনের কারণে বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শুধু করাচি কিংবা সিন্ধ প্রদেশ নয়, বরং পাকিস্তানজুড়ে করোনায় আক্রান্ত-মত্যু বাড়ছে।
সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি-শাহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি জানি লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করলে মানুষজন খুশি হবে না। কিন্তু করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে হলে আমাদের লকডাউন জারি করা ছাড়াও কোনও উপায় নেই।’
এক শহর থেকে আরেক শহরে বাসসহ সব ধরনের গণপরিহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্যাক্সি চলতে পারবে কিন্তু সর্বোচ্চ দু’জন যাত্রী নিয়ে। হোটেল খোলা থাকবে তবে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার ডেলিভারি নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।