Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ

কলাপাড়ায় টানা বৃষ্টি তলিয়ে রয়েছে পুকুর ও মাছের ঘের

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কয়েক হাজার মানুষ। বৃষ্টি কমলেও পানি কমেনি। তলিয়ে রয়েছে পুকুর ও মাছের ঘের। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মৌসুমী সবজি চাষিরা। পানিতে তলিয়ে থাকায় অনেকের বাড়িতে উনুন জ্বলেনি। এছাড়া দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। এদিকে ভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর, মহিপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কালভার্ট আটকিয়ে প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করার ফলে এমন পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা মৎস্য ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ১৫শ’ পুকুর ও মাছের ঘের। এতে প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করেছে মৎস্য বিভাগ। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ২৫শ’ হেক্টর আমনের বীজতলা। এছাড়া ৩৪ হেক্টর আউশ ও ৭৪০ হেক্টর জমিতে চাষকৃত শাক সবজি অর্ধেকটা নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। স্থানীয়রা জানান, টানা ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অন্তত দশ হাজার একর জমি দেড় থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এ কারণে আমন ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এভাবে ক্ষেত তলিয়ে থাকলে আমনের রোপন করা বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেঁরিবাধের বাইরে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে শত শত পরিবার। আর ওইসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। কৃষক জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বাড়ির পাশে সবজি চাষ করেছি। এ বছর গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তার ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে। এর ফলে ক্ষেত পচনের আশঙ্কা করেছেন তিনি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এ উপজেলায় টানা সাত দিনের ভারি বর্ষণে ১৫শ’ পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, ক্ষতির তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, করোনায় কর্মহীন ও পানিতে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে ছয় লাখ টাকা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের কাছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মহিপুর, লালুয়া, চম্পাপুর, ধানখালী, ইউপির পানিবন্ধি মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৃষ্টি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ