মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এটর্নিরাশেদ হুসেইনকে ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (আইআরএফ) বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হিসেবে মনোনীত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের কমিশনার হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিনি খিজর খানকে মনোনীত করেছেন বাইডেন। তার সরকারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে এটাই কোনো মুসলিমকে মনোনয়ন দেয়া হল। বর্তমানে রাশেদ হুসেইন (৪১) জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে পার্টনারশিপস অ্যান্ড গ্লোবাল এনগেজমেন্টের পরিচালক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। হোয়াইট হাউজ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি এমন একটি প্রশাসন গড়ে তুলবেন- যা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাশোনা করবে, সব ধর্মবিশ্বাসের মানুষের প্রতিফলন ঘটাবে। এই ঘোষণা প্রেসিডেন্টের সেই প্রতিশ্রুতিকে বড় করে তুলেছে। ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হিসেবে প্রথম কোন মুসলিম হিসেবে তিনি মনোনয়ন দিচ্ছেন রাশেদ হুসেইনকে। রাশেদ এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় নিরাপত্তা ডিভিশনে সি নিয়র কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে। তিনি ওআইসিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত, স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার টেরোরিজম কমিউনিকেশনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত এবং হোয়াইট হাউজ কাউন্সিলের ডেপুটি এসোসিয়েট ছিলেন। দূত হিসেবে তিনি ওআইসি, জাতিসংঘ, বিদেশি সরকারসমূহ, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ বহুবিধ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা উদ্যোগ, স্বাস্থ্য, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অন্য বিষয়কে বিস্তৃত করার জন্য কাজ করেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় তিনি কাজ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে যোগ দেয়ার আগে তিনি হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে কাজ করেন। সেখানে তিনি জুডিশিয়ারি আইন বিষয়ক ক্লার্কহিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে খিজর খান হলেন ২০০৪ সালে ইরাক যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের পিতা। তাকে এবং তার স্ত্রী গজালা খানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ তোলপাড় হয়। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কনভেনশনে দেয়া এক বক্তব্যের কারণে এই দম্পতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই বক্তব্য তারা তখনকার রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। ২০১৫ সালের আগে খিজর খান প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসেননি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।