চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি নামায-কালাম ঠিকমত করে তবে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখে না। এমন স্ত্রীর জন্য তার নামায-বন্দেগীর কোনো ক্ষতি হবে কি না, জানাবেন।
উত্তর : একজন স্বামীর পক্ষে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখা কর্তব্য। কর্তব্যে অবহেলার জন্য স্বামী গোনাহগার হবে। এ জন্যে তার নামায-বন্দেগী বরবাদ হবে না। স্ত্রীর শরীয়ত বিরোধী আচরণ যদি স্বামী নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে এ স্বামীর কঠোর শাস্তির কথা হাদীসে পাওয়া যায়। এক হাদীসে আছে যে, এমন পুরুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে সর্বাত্মক চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে সেটিও আল্লাহ দেখবেন।
প্রশ্ন : আমাদের গ্রামের মসজিদের তহবিলে বেশ কিছু টাকা জমা হয়ে আছে। প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পরও এ টাকা থেকেই যায়। এখন এ তহবিল থেকে কোন জনহিতকর কাজে ঋণ প্রদান করা যাবে কি না, জানাবেন।
উত্তর : মসজিদের টাকা অন্য কোন কাজেই লাগানো যাবে না। কর্জও দেয়া চলবে না। মসজিদের উন্নয়ন বা স্থায়ী আয়ের জন্যে এ টাকা ব্যয় করা যেতে পারে। মসজিদভিত্তিক কোরআন শিক্ষার প্রসার বা দ্বীনি শিক্ষাখাতে মসজিদের উদ্বৃত্ত টাকা ব্যয় করা যায়। তবে এটি মসজিদ পরিচালনা কমিটি কর্তৃক বিজ্ঞ মুফতী সাহেবগণের পরামর্শে করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ এটা করবেন না।
প্রশ্ন : ১০১ টা কবর খনন করতে পারলে নাকি আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা মানুষের বড়-ছোট, প্রকাশ্য-গোপন সকল গোনাহই মাফ করে থাকেন। জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করাও আল্লাহ তায়ালারই কাজ। কোরআন-হাদীসে অনেক আমল এমন বর্ণিত হয়েছে যার ফলে জীবনের সব গোনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু ১০১ টা কবর খনন সম্পর্কিত এমন তথ্য আমরা কোরআন-কিতাবে পাইনি। মানুষের কবর খনন করে দেয়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু ১০১ এর পরিমাণ নির্ধারণ করে তা খনন করা এবং জীবনের সব গোনাহ মাফের সাথে একে শর্তরূপে জুড়ে দেয়ার চেতনাটি শরীয়তের মর্ম বিরোধী। এটা প্রচলিত লোককথা বা মনগড়া তথ্য। যা সম্ভবত ধর্মীয় কুসংস্কারের ভিত্তিতে রচিত হয়ে থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।