Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার হবে : বিশ্ব শর্মা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

আসামকে বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে বর্ষায় ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা অচিরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে ভারতের রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে এই বিষয়ক এক বৈঠকের পর রোববার তিনি শিলংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের বন্যায় প্রতিবছরই বর্ষাকালে ভুগতে হয় আসামকে। এই নদীটি তিব্বতে উৎপত্তির পর ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। আসামকে বন্যা থেকে বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি ছিল বিজেপির। তার উপর ভর করে গত বছর অনুষ্ঠিত বিধান সভা নির্বাচনে রাজ্যটিতে ক্ষমতায় ফেরে দলটি। হিমান্ত শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহারে নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (এনইএসইসি) একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। মেঘালয়ভিত্তিক এনইএসইসি ডিপার্টমেন্ট অব স্পেস অ্যান্ড দি নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের একটি যৌথ উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ওই অঞ্চলকে ভূপ্রাকৃতিক বৈরিতা মোকাবেলা করা। শনিবার এনইএসএসির একটি বিশেষ বৈঠক হয়, মেঘালয় সফরে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। ওই বৈঠকেই পানি প্রত্যাহারের পাইলট পরিকল্পনাটি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান আসামের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পাইলট প্রকল্পে ধিমাজি জেলায় বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অতিরিক্ত পানি প্রত্যাহার করা হবে।” অরুণাচল সীমান্তবর্তী জেলা ধিমাজি আসামের অন্যতম প্রধান বন্যাপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। গত জুনে সেখানে বন্যায় ৬১ গ্রাম ভেসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজার মানুষ। ভেসে যায় ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির ফসল। আসামের মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং এনইএসএসির বিশেষজ্ঞরা বর্ষায় ব্রহ্মপুত্রের পানি সরিয়ে নিয়ে রাখার জন্য ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার জলাভূমি এলাকা চিহ্নিত করেছেন। এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ