মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে (আজাদ জম্মু-কাশ্মীর) সরকার গঠনের করতে যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। রোববারের নির্বাচনে তারা সুস্পষ্ট বিজয় অর্জন করতে চলেছে।
নির্বাচন কমিশন আজাদ জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচনের ৫টি আসনের অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে পিটিআই চারটি আসনে বিজয় অর্জন করেছে। অন্য ২০টি আসনে সুস্পষ্টভাবে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। আজাদ জম্মু কাশ্মীর পার্লামেন্টে আসন সংখ্যা ৫৩টি। ৫ বছর মেয়াদী এই পরিষদের ভোটে ৩২ লাখ ভোটারের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট দিয়েছেন। মোট আসন ৫৩টি হলেও নির্বাচন হয়েছে ৩৩ আসনে আসনে।
১২ টি আসন শরণার্থী কাশ্মীরিদের জন্য সংরক্ষিত। এর বাইরে সাধারণ আসনে জয়ের অনুপাত হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাকি ৮টি আসন বন্টন করা হবে। সরকার গঠন করতে একটি দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে কমপক্ষে ২৭ আসন পেতে হয়। বর্তমানে যে ধারায় পিটিআই অগ্রসর হচ্ছে তাতে তারা ৩০ আসনের বেশি অতিক্রম করবে। শেষ খবর পাওয়া অবধি দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখার লড়াইয়ে আছে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। অনানুষ্ঠানিক ফল বলছে, পিপিপি পেয়েছে ৫ আসন। পিএমএলএন পেয়েছে ৪ আসন।
১৯৭৫ সাল থেকে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন দলই আজাদ জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসছে। বিশ্লেষকরা কয়েক দশক ধরে এই ধারায় কোনো পরিবর্তন দেখতে পারছেন না। রোববার নির্বাচনের শুরুতে সেখানে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয়। এতে সেনাবাহিনী তলব করা হয়। কয়েক ঘন্টার জন্য কয়েক ডজন ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম এক্সপ্রেস নিউজের মতে, কোটলিতে একটি নির্বাচন কেন্দ্রে পিটিআই এবং পিপিপির মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে কমপক্ষে দু’জন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতরা পিটিআইয়ের কর্মী বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষ হয়েছে মুজাফফরাবাদ, মিরপুর, বাগ ও রাওয়ালকোট এলাকায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল রশিদ সালেহরিয়া বলেছেন, যেসব স্থানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, সেখানে সেনা পাঠানো হয়েছে।
৪৫ টি আসনে ৩২ টি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের কমপক্ষে ৭০০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আটটি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৫টি আসন নারীদের এবং বাকি তিনটির একটি করে ধর্মীয় বিজ্ঞজন, টেকনোক্র্যাট এবং কাশ্মীর দেখাশোনা করবে এমন ব্যক্তির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এসব পদে মনোনয়ন দেয়া হবে নির্বাচনের পরে। ৪৫টি সাধারণ আসনের মধ্যে ১২ টি আসন কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত- যারা ১৯৪৭ এবং ১৯৬৫ সালে ভারত শাসিত কাশ্মীর থেকে সেখানে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে বসবাস করছেন। ফলে মূল নির্বাচন হয়েছে ৩৩টি আসনে। ৭০০ প্রার্থীর মধ্যে ২০ জন নারী প্রার্থী। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।