Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর কামরাঙ্গিরচর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিজেও

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২১, ৫:১৮ পিএম

 

রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর এটিকে হত্যাকা- বলেই ধারণা করছে পুলিশ। আর হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহের তীর গৃহকর্তা মুকুন্দ চন্দ্র দাসের দিকেই।মা ও ছোট মেয়ে হত্যাকা-ের শিকার হলেও ঘটনার সময় একসঙ্গে অবস্থান করা বড় মেয়ে বেঁচে গেছেন। ওই বড় মেয়েই ভোরবেলা 'কিছু একটা' দেখেছেন। যার ফলে মা-ছোট বোনকে হত্যাকারী হিসেবে বাবাকেই চিহ্নিত করছেন বড় মেয়ে।
এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনার পর মুকুন্দ চন্দ্র চাড়পোকা মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার সকালে খবর পেয়ে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার তুলাগাছ তলায় একটি বাসা থেকে মাফুল বাশি (৩৫) ও তার মেয়ে সুমির (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুইজনের গলাতেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, এতে ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফুলবাশির স্বামীমুকুন্দ চন্দ্র দাস ও তারবড় মেয়ে ঝুমাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মুকুন্দকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঝুমাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশসংশ্লিষ্টরাজানান, ভোরবেলাবড় মেয়েসজাগহয়েতারবাবাকে ছোটবোনসুমিরগলা চেপেধরতে দেখেছেন। তবে এ বিষয়েআরোবিস্তারিতজিজ্ঞাসাবাদ করাহচ্ছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত দুইজনেরই গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্বামীমুকুন্দ চন্দ্র ছারপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীমউদ্দিন মোল্লা বলেন, গত রাতে মা ও দুই মেয়ে খাটে ঘুমানো ছিল, আর গৃহকর্তা মুকুন্দ চন্দ্র মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরের দিকে বড় মেয়ে একটা কিছু দেখেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। মুকুন্দ কখনো মাছ ধরে বিক্রি করতেন আবার কখনো ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে সংসার চালতেন বলে জানিয়েছেন আশে-পাশের প্রতিবেশীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ