পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিবিসি (ঢাকা বাংলা চ্যানেল) টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজ প্রডিউসার আব্দুল বারীকে কেউ হত্যা করেনি। তার মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জড়িত নন। তিনি (আব্দুল বারী) নিজেই ধারালো ছুরি কিনে তা দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল শনিবার আব্দুল বারী খুনের মামলার তদন্ত শেষে ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, সবশেষ একটি দোকান থেকে তিনি চাকু কেনেন। যেটি ঘটনাস্থলে পরে থাকা একই চাকু, একই ব্রান্ড। এসব পর্যালোচনা করে আমাদের মনে হয়েছে মানুষিক অশান্তি, শারীরিক বেশকিছু সমস্যা এবং নিসঙ্গ জীবনের কারণে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করতে পারেন, সেই সম্ভবনাই বেশি। আমরা তদন্তে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব মেডিকেল রিপোর্ট, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং কেমিকেল রিপোর্টের জন্য।
তিনি বলেন, মানসিক অবসাদ থেকে নিজের গলা কেটে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন আব্দুল বারী। নিহত আব্দুল বারীর লাশ উদ্ধারের সময়ে পাশে থাকা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একটি দোকান থেকে নিহত বারী নিজেই ছুরি কিনেছেন। তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেছেন। পরে গুলশানে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
গত ৭ জুন সকালের দিকে হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজার পাশে গুলশান লিঙ্ক রোডের পাশ থেকে আব্দুল বারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বুকে ছুরিকাঘাত ও গলায় কাটা দাগ ছিল। তার পরনে শার্ট-প্যান্ট ছিল। তার শরীর ছিল ভেজা।
তখন পুলিশ ধারণা করে, তাকে বুকে ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর বারীর লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আব্দুল আলীম। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগকে। মহাখালীতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
ডিসি মশিউর রহমান বলেন, নিহত বারীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি উনি একজন নির্ভৃতচারী, স্বল্পভাষী ও আইসোলেটেড মানুষ। তার শারীরিক বেশকিছু সমস্যা ছিল, সেজন্য হতাশাগ্রস্ত ও হীনমন্যতায় ভুগতেন। প্রায়ই পরিবারের লোকদের সঙ্গে যোগযোগ রাখতেন না। রাজধানীতে যে মেসে থাকতেন, খেতেন কিন্তু সবার সঙ্গে কম মেলামেশা করতেন। অফিসেও কম মনোযোগী ছিলেন। চাকরি ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশও দিয়েছিলেন। জুলাই থেকে বাড়ি ভাড়াও (মেস) ছেড়ে দেয়ার কথা বলছিলেন।
তদন্ত সংািশ্লস্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিনের বিভিন্ন সিসিটিভি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছেন। এ দোকান সেই দোকানে হাটাহাটি করেন। যেখানে তিনি জীবনেও যাননি সেখানেও তিনি গিয়েছিলেন। নির্ভৃতে হাটেন, আবার ফেরত আসে। এসব দেখে আমাদের মনে হয়েছে কোনো পূর্বশত্রুতা বা কোনো কারণে কেউ তাকে অনুসরণ করেনি। সেটা ডিজিটাল ভাবেও না ফিজিক্যালিও না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।