বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে এসে ছিলেন হাজারও কর্মজীবী মানুষ। ঈদ শেষ হতে না হতেই আজ ঈদের ২য় দিন আবারও তারা কর্মস্থল ঢাকায় যাচ্ছেন। এ কারণে সড়ক-মহাসড়ক, নৌ-বন্দরসহ অন্যান্য টার্মিনালে রাজধানীমুখী মানুষের উপচেপড়া চাপ দেখা গেছে। আজ ঢাকায় না গেলে ২৩ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের লকডাউনে পড়তে হবে সকলের।
আজ লকডাউনের আগেরদিন দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ফেরা সবগুলো লঞ্চেই ছিল কর্মজীবী মানুষের ভিড়। লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে কেবিন,লঞ্চের ছাদ এমনকি কেবিনের সামনের গলিপথেও মানুষের চাপ দেখা গেছে। টার্মিনালের পন্টুনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোনও নমুনা দেখা যায়নি। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্কও।
কথা হয় ঢাকাগামী যাত্রী নাজমুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন অফিস খুলবে তাই অফিসে যোগ দিতে হবে। তাই ঢাকা যাচ্ছি। কিন্তু লঞ্চে তো মানুষের জন্য পা রাখার জায়গা নেই। কোনোভাবে ডেকের এক কোণে একটু বিছানা করে নিয়েছি। মানুষের চেঁচামেচি আর প্রচণ্ড ভিড় দেখে মনে হচ্ছে যেন করোনা বলতে দেশে কিছুই নেই। কারও মুখে মাস্কও নেই। অফিস তো আর এসব বুঝবে না। তাই করোনা ঝুঁকি মাথায় রেখেই চলে যাচ্ছি। তবেঁ সরকারি আদেশে ২৩ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত গার্মেন্টস সহ সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া আছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার বস যেতে বলছে না গেলে আমাকে চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে দিবে তাই বাধ্য হয়েই ঢাকা যাচ্ছি।
পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য আজ ৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে, লঞ্চ গুলো পটুয়াখালী থেকে দুমকি বাউফলের বগা ও চরগরবী ঘাট থেকে যাত্রী নেওয়ার পরপরই পুরো লঞ্চ ভর্তি হয়ে যায়। মানুষের ভিড়ে কোথাও কোনও জায়গা ফাঁকা ছিল না। একই অবস্থা ছিলো দুমকির পাতাবুনিয়া বাহেরচর লঞ্চ ঘাটের এবং লেবুখালী ফেরীঘাটের চিত্র। ফেরীঘাটে ছিলো ঢাকামূখি মানুষ ও যানবাহনের তীব্র যানজট। যানজট কমিয়ে আনতে লেবুখালীতে তিনটি ফেরী চলাচল করছে।
ঈদের ঘরমুখী মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বিষয়ে কোথাও চোখে পড়েনি প্রশাসনের তৎপরতা।
এ অবস্থার জন্য যাত্রী ও লঞ্চ মালিকরা দায় চাপাচ্ছেন একে অন্যের ওপর।
যাত্রীদের অভিযোগ স্বাস্থ্যবিধি না থাকার কারণ লঞ্চ মালিকদের অতি মুনাফার লোভ। মালিকদের দাবি, যাত্রীরা কথা শুনছেন না আর যাত্রীরা বলছেন অতি মুনাফার আশায় বেশী যাত্রী উঠাচ্ছেন মালিকরা। তবে, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তদারকির ব্যবস্থা আরো জোরদারসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন মহল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।