গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আজকের মধ্যেই কুরবানির পশু জবাই দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র তাপস এই অনুরোধ জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছেরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শেখ তাপস বলেন, আমি ঢাকাবাসীকে নিবেদন করছি, আপনারা আজকের মধ্যেই কুরবানি দেওয়া বা পশু জবাই শেষ করুন। আমাদের বিশাল জনবল নিরবচ্ছিন্নভাবে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে থাকে। তাদেরও ঈদ আছে, তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। আমরা তাদের একদিন ঈদের ছুটি দিতে চাই।
‘নিতান্তই কেউ যদি আজকের মধ্যে কুরবানির পশু জবাই শেষ করতে না পারেন, তাহলে দয়া করে আপনারা আগামীকাল নিজ দায়িত্বে পশুর বর্জ্য নির্ধারিত ব্যাগে ভরে আপনার নিকটবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসবেন’, যোগ করেন মেয়র।
মেয়র বলেন, গত তিন দিন ধরে (২০ জুলাই রাত থেকে) আমাদের জনবল কাজ করছে, আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটানা কাজ করে চলেছে। বাস্তবতা হলো, আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা জনগণকে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সহযোগিতা করার আহ্বান জানায়। আমরা যে ব্যাগ সরবরাহ করেছি, দয়া করে তা সংগ্রহ করুন এবং সেই ব্যাগে ভরে আপনার পশুর বর্জ্য আমাদের বর্জ্য সংগ্রহকারীদের কাছে হস্তান্তর করুন। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, দ্বিতীয় দিনও প্রায় ৩০ শতাংশ কুরবানি দেওয়া হয়। আজকে যে সকল পশু জবাই করা হবে, সেসব পশুর বর্জ্য আমরা আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত বারোটার মধ্যে অপসারণ করব।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টন কুরবানির পশুর ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ এলাকার পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
আজিমপুর চায়না বিল্ডিং এলাকায় দেখা গেছে, বিভিন্ন বাসা ও ফ্ল্যাটবাড়ির সামনে বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে প্রধান সড়কেও কিছু বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে সার্বিকভাবে ডিএসসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরন্ত প্রচেষ্টায় অধিকাংশ বর্জ্যই অপসারণ হয়েছে। আজও পশু কোরবানি হচ্ছে। তাই নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় বর্জ্য জমা হচ্ছে। ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সকাল থেকে গতকাল ও সেই সাথে আজকের বর্জ্য অপসারণের কাজে নেমেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।