Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুরবানি নিষিদ্ধ করেও সরে আসতে হলো ভারতকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কুরবানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও তা তুলে নিতে হলো ভারতকে। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের স্থানীয় সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা জি.এল.শর্মা। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার আইন কর্মকর্তাদের সরকারি নীতি নির্ধারকরা বলেছিলেন, আইন প্রয়োগ করে গরু, বাছুর, উট এবং অন্যান্য প্রাণীদের কুরবানি বন্ধ করা হবে। তার পরদিনই সিদ্ধান্ত বদলালো তারা। এ বিষয়ে জি.এল.শর্মা বলেন, পূর্বে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পাশাপাশি সরকার মুসলিমদের উৎসবে পশুর যথাযথ পরিবহন এবং নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে সচেষ্ট। স্থানীয় সরকারের সিনিয়র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের আইন প্রয়োগের জন্য প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণীদের ওপর নিষ্ঠুরতা রোধে ব্যাপক গণহত্যা চালানো অভিযোগ উঠেছিল। তাই চিঠি পাঠানো। তবে তা কোনোভাবেই কুরবানি নিষিদ্ধের জন্য নয়। ভারতের অনেক রাজ্যে গরু জবাইয়ের উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং এ জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুসলিমদের মধ্যে ছাগল বা নির্দিষ্ট অন্য কোনও চতুষ্পদ প্রাণীর কুরবানি দেয়ার বিধান রয়েছে। কুরবানি করা পশুর মাংস পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন ও গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে প্রশাসন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গবাদিপশুসহ বিভিন্ন পশুর কুরবানি নিষিদ্ধ করে। কেউ যদি কুরবানি করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকিও দেয়া হয়। প্রশাসনের জারি করা আদেশে বলা হয়, গবাদিপশু, উট বা অন্য পশুদের অবৈধ হত্যা বা কুরবানি বন্ধ করা উচিত। পশুদের কল্যাণে তৈরি আইনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রশাসন এটি নিষিদ্ধ করে। এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ