মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ‘বাংলাদেশি নাগরিকত্ব’ নিয়ে পশ্চিমঙ্গের রাজনীতিতে হইচই শুরু হয়েছে। আসামের কংগ্রেস আইনপ্রণেতা রিপুন বোরা প্রথমে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন।
আনন্দবাজার জানায়, শনিবার সেই চিঠি নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয় রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল।
রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং ব্রাত্য বসু এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মোদিকে লেখা রিপুনের চিঠি পোস্ট করে তাদের দাবি, কোনো বিদেশি নাগরিক দেশের মন্ত্রী হলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
জবাবে রাজ্য বিজেপি বলেছে, কুৎসা না রটিয়ে কোনো প্রমাণ থাকলে দিক তৃণমূল।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু আরও বলেন, ‘তর্কের খাতিরে অভিযোগ মেনে নিলেও এটা তো ঠিক যে, নিশীথ হিন্দু। বিজেপি মনে করে, সব হিন্দুই ভারতীয়।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগের কোনো সারবত্তা নেই। দরকার হলে তৃণমূল এটা নিয়ে আদালতে যাক।’
মোদিকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উল্লেখ করে আসামের কংগ্রেস নেতা রিপুন দাবি করেছেন, নিশীথ আদতে বাংলাদেশের পলাশবাড়ির হরিনাথপুরের বাসিন্দা। ভারতে কম্পিউটার কোর্স করার নামে আসার পরে কোচবিহারে থেকে যান। প্রথমে তৃণমূলে এবং পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হন।
তিনি আরও দাবি করেছেন, যে নথি দেখিয়ে নিজেকে কোচবিহারের বাসিন্দা বলে নিশীথ দাবি করেছেন তা ভুয়া। এই নথি জালিয়াতি করে তৈরি বলেও অভিযোগ রিপুনের।
সেই চিঠির কথা উল্লেখ করেই ব্রাত্য টুইটারে লিখেছেন, ‘রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বোরা সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। বহু সংবাদমাধ্যমে নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক বলে উল্লেখ রয়েছে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘এই ধরনের লোককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার আগে কি কোনো কিছুই খতিয়ে দেখা হয়নি? ভুলে গেলে চলবে না এই নিশীথের বিরুদ্ধে কতগুলো গুরুতর অপরাধমূলক মামলা চলছে। লজ্জাজনক।’
অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের দুজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এমন প্রশ্ন তুলেছেন। দয়া করে তারা তথ্য-প্রমাণ দিন। কুৎসা রটিয়ে শুধু খবরেই আসা যায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।