নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুর্দান্ত এক রেকর্ডগড়া জয়ের রেশ কাটেনি এখনও। সাকিব আল হাসানের রেকর্ডরাঙা ৫ উইকেটের সঙ্গে আছে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিটন দাসের সেঞ্চুরির আত্মতৃপ্তিও। সেই সাথে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তরুণদের লড়াকু মানসিকতা- জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম ওয়ানডের জয়টি যেন ‘অনন্য এক সকালের’ আভাস দিচ্ছে। প্রায় ৮ বছর আগে দেশটিতে সর্বশেষ সফরের যে তিতকুটে স্মৃতি পেড়ায় বাংলাদেশকে, আজ বুঝি তা থেকে মিলতে যাচ্ছে মুক্তি। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে তিন ম্যাচ সিরিজের আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল। হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়। এই ম্যাচটি জিতে আজই সিরিজ জয়ের উৎসব করতে চায় তামিম ইকবালের দল। তবে তার আগে বেশকিছু ব্যপার একটু ‘নতুন করে’ ঝালিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রথমত, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চোট নিয়েই পুরো ওয়ানডে সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম। যার ছাপ পড়েছে প্রথম ওয়ানডেতে। ব্যাট হাতে ৭টি বল খেললেও একটি বারের জন্য অধিনায়ককে স্বস্তি বোধ করতে দেখা যায়নি। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। আর তাতে শূন্য রানে আউট হবার রেকর্ডই লেখা হয়ে গেছে দেশসেরা এই ওপেনারের নামের পাশে।
বাংলাদেশের আরেক চিন্তার নাম মুস্তাফিজুর রহমান। চোটের কারণে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি কাটার মাস্টার। এই পেসারকে নিয়ে শঙ্কা এখনো আগের পর্যায়েই। প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন মাত্র ৫টি বল করেই মাঠ ছেড়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। প্রথম ওয়ানডেতে তিনি খেলতে পারবেন সেটা আগেই নিশ্চিত ছিল। তবুও অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, প্রথম ম্যাচের আগে পর্যন্ত মুস্তাফিজের খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিনও সেই একই কথা বললেন তামিম, ‘আমার ব্যাপারে তো কম বেশি বলা হয়ে গেছে। এই তিনটা ম্যাচই কম বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হচ্ছে। কিন্তু আমি কোনো রকমে ম্যানেজ করছি। লিটনের অবস্থা আমি যতটা জানি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। সে হয়তো আগামীকাল খেলতে পারবে। মুস্তাফিজেরটা এখনো ফিফটি-ফিফটি। আজ (গতকাল) বিকেলের দিকে আরেকটু ভালো বলতে পারব। এছাড়া সবাই ফিট।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। লিটনের সেঞ্চুরির সাথে মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তা আর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। পরের ম্যাচগুলোতে দলকে এভাবে বিপদে না ফেলতে আরও ভালো ব্যাটিং করতে চান সাকিব ও তামিম। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচের মাঝখানে গণমাধ্যমকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় এমন আশাই ব্যক্ত করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম। তিনি জানান, সিনিয়ররা ব্যর্থ হলেও জুনিয়ররা দায়িত্ব নিয়ে খেলার সময়ে এসে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল, ‘কাল (পরশু) একটা পর্যায়ে খুব বিপদে ছিলাম। আমি সবসময় বলি, জুনিয়রদের পারফর্ম করতে হবে। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কাল এক্ষেত্রে আদর্শ ম্যাচ ছিল। যেখানে লিটন বেশ দায়িত্ব নিয়ে একটা ইনিংস খেলেছে। আর সবসময় ১০০ বা ৫০ নিয়ে কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু আমার কাছে ছোট ছোট অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তামিমের চোখে অর্ধশতক বা শতকের চেয়ে ছোট ছোট ইনিংসগুলোও মোটেও কম কার্যকরী নয়। তিনি জানান, ‘আফিফের ইনিংসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ওই ইনিংসটা না খেললে ২৭০ রান করতে পারতাম না। ৩০-৪০ রান কম হতো। মিরাজের ২২-২৩ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিয়াদ ভাই আউট হওয়ার পর আরেকটি উইকেট পড়ে গেলে বিপদ হতো। আমার কাছে মনে হয় এই ছোট ছোট অবদানের কৃতিত্ব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমি পছন্দ করি।’
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে যেন দলের ব্যাটিং অর্ডারকে বিপদে পড়তে না হয়, এজন্য দলের আরেক সেরা তারকা সাকিবকে নিয়ে আরও সতর্ক থেকে খেলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেন তামিম। দলের উন্নতির জায়গা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে যদি তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়া আদর্শ না। টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু ভালো খেলি, তাহলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না। চেষ্টা করব যে পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে। এছাড়া আমাদের বোলিং নিয়ে আমি খুবই খুশি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।