পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। বর্তমানে তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে কর্মরত আছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামীকাল রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে তার শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের কাজ চলছে। তাকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ হওয়ার পর সরকার প্রধান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের দপ্তর বণ্টন করেন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই তাকে মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার সাবেক সচিব শামসুল আলম ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে ফোন করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার পর একাধিকবার ছোটখাটো পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিবারই বড় পরিবর্তনের কথা চাউর হলেও তা হয়নি। এবারও একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ হচ্ছেন। আর কারো দপ্তর বদল বা যোগ-বিয়োগের কথা জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত সরকার প্রধানের পক্ষথেকে দেওয়া ছিল। এর মধ্যে শামসুল আলম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ হচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। সেই সঙ্গে আরো কেউ যোগ হতে পারেন বা কারো দপ্তর বদল হতে পারে। এমন গুঞ্জনও সচিবালয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শামসুল আলমই যোগ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শামসুল আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় পূর্ণকালীন চাকরিতে যুক্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব মর্যাদা) হিসেবে নিয়োগ পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদের সরকারের প্রথম থেকে ভিশনারি সব পদক্ষেপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন ড. আলম। বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রূপকল্প ২০১০-২০২১ এবং শতবর্ষী বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-সহ একাধিক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে তার হাত ধরে।
পঁয়ত্রিশ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে ড. শামসুল আলম ১ জুলাই ২০০৯ সনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং এখনো (২০১৯) কর্মরত আছেন।ড. আলমের কর্মজীবন ২০১৮ সনে ৪৩ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সৃষ্টির পর সদস্য হিসেবে ২০০৯ থেকে ড. আলম দীর্ঘতম সময়ের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন। ড. আলম ২০১৬ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে যান। ড. শামসুল আলম ২০১৪ সনের ফেব্রæয়ারী মাস থেকে প্রেসিডেন্টের ১০% কোটায় ক্যাডার সার্ভিসের বাইরে প্রথম সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিব্যবসা ও বিপণন বিভাগে দীর্ঘ ৩৫ বছর অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন। প্লানিং কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদানের পূর্বে প্রফেসর আলম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশনে তার প্রাপ্ত প্রথম দায়িত্বের মধ্যে ছিল দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১), সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে সংশোধন পুনর্বিন্যাস করা। সংশোধিত সেই দলিল ‘দিন বদলের পদক্ষেপ’ জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে ২০১০-১১ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়। রূপকল্প ২০২১ এর আলোকে প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১), ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫) ড. আলমের নেতৃত্বে ও অংশগ্রহণে প্রণীত হয়। ড. আলমের পারিবারিক জীবনে স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান, ও এক নাতনী রয়েছে। ড. আলমের জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৫১ সনের ১ জানুয়ারি।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে দল আওয়ামী লীগ। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়।
এ সরকারের মেয়াদের ১৩ মাসের মাথায় এসে মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দফতর বদল করা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউলকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। গত ১৩ জুন রাতে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। পরে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে। জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। বর্তমানে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী রয়েছেন ৩ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।