নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাওয়ার প্লেতে সাকিব আল হাসান ছিলেন খরুচে। দুই ওভারেই ব্রেন্ডন টেইলরের ব্যাটে হজম করেছিলেন বাউন্ডারি, দিয়েছিলেন ১৭ রান। পরের স্পেলে বোলিংয়ে ফিরেই বাঁহাতি স্পিনার নিলেন মধুর প্রতিশোধ। ফিরিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে। সাকিবের বাঁহাতি স্পিনের বিরুদ্ধে টেইলরের অস্ত্র যেন ছিল স্লগ সুইপ। এর আগে বাউন্ডারি পেলেও এবার অফ স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বলে ঠিকমতো শট খেলতে পারেননি। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ মুঠোয় জমান তাসকিন আহমেদ। আর তাতেই বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট হয়ে গেল তার। তিন সংস্করণেই এখন বাংলাদেশের উইকেটশিকারির তালিকায় সবার ওপরে সাকিব।
সাকিব ওয়ানডেতে টপকে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। বাংলাদেশের হয়ে এ সংস্করণে মাশরাফির উইকেট ২৬৯টি। ক্যারিয়ারে মাশরাফি সব মিলিয়ে ২৭০টি উইকেট পেলেও এর মধ্যে একটি উইকেট তিনি পেয়েছিলেন এশিয়া একাদশের হয়ে। ইনিংসের সংখ্যার বিচারেও মাশরাফিকে পেছনে ফেলেছেন সাকিব। ২১৩ ম্যাচে ২১০তম ইনিংসে এ মাইলফলক হলো সাকিবের। মাশরাফি এখন পর্যন্ত ২১৮ ম্যাচে সমানসংখ্যক ইনিংসেই বোলিং করেছেন। গতকাল ম্যাচ শেষে ৯.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট! বাঁহাতি স্পিনে সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট আছে ওয়ানডে ইতিহাসে কেবল দুইজনের। ড্যানিয়েল ভেটোরির উইকেট ৩০৫টি, সনাৎ জয়াসুরিয়ার ৩২৩টি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেটের তালিকায় সাকিব ও মাশরাফির পরই আছেন আবদুর রাজ্জাক। ক্রিকেট ছেড়ে এখন জাতীয় দলের নির্বাচক রাজ্জাক ২০৭ উইকেট নিয়েছিলেন ১৫২ ইনিংসে। এ ছাড়া ওয়ানডেতে ১০০ বা তার বেশি উইকেট আছে আরও তিনজনের- রুবেল হোসেন (১২৯), মুস্তাফিজুর রহমান (১২৪) ও মোহাম্মদ রফিক (১১৯)।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগে থেকেই বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড সাকিবের দখলে। টেস্টে তার (২১৫ উইকেট) ধারেকাছেও আপাতত কেউ নেই। তালিকার ২ নম্বরে থাকা তাইজুল ইসলামের উইকেট ১৩৪টি। এরপর আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১১৩) ও রফিক (১০০)। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট ৯২টি। দুইয়ে থাকা মুস্তাফিজ নিয়েছেন এখন পর্যন্ত ৫৮টি উইকেট।
ওয়ানডেতে ২১৩তম ম্যাচে এসে মাশরাফিকে ছাড়াতে পারলেন সাকিব। সব মিলিয়ে দেশসেরা অলরাউন্ডারের উইকেটসংখ্য এখন ২৭২। এ উইকেট পেতে গড়ে ২৯.৮৩ রান দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফির ২৬৯ উইকেট এসেছে ৩২ এর বেশি গড়ে। ওভারপ্রতি রান দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাকিব মাশরাফির চেয়ে এগিয়ে। সাকিবের ৬ বলে প্রতিপক্ষ ৪.৪৫ রান তোলেন। ওদিকে ২০২০ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলা মাশরাফি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৪.৮৬ করে। স্ট্রাইকরেটের দিক থেকেও মাশরাফিকে টপকে গেছেন সাকিব। প্রতি ৪০.২ বলে এক উইকেট পাওয়া মাশরাফির চেয়ে ০.১ বলে এগিয়ে সাকিবই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।