মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এস রাধাকৃষ্ণণ এবং আর কে নারায়ণনের লেখা বাদ গেল ভারতের উত্তরপ্রদেশের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি থেকে। উত্তরপ্রদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে রবীন্দ্রনাথ-রাধাকৃষ্ণণদের লেখা বাদ দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই জায়গায় আসছে যোগগুরু রামদেব ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বই! -ডয়েচে ভেলে ও নিউজ ১৮
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের সুপারিশ মেনে চৌধুরি চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের পাঠ্যক্রমে রামদেবের বই ‘যোগ চিকিৎসা রহস্য’ এবং যোগী আদিত্যনাথের ‘হঠযোগ স্বরূপ এবং সাধনা’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর অপরদিকে, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য হোম কামিং’ এবং দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের প্রবন্ধ ‘দ্য উইমেনস এডুকেশন’।
নতুন এই শিক্ষাবর্ষে আর কে নারায়নণের গল্প ‘অ্যান অ্যাস্ট্রোলজারস ডে’ এবং মূলক রাজ আনন্দের ‘দ্য লস্ট চাইল্ড’ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জন মিল্টন এবং পি বি শেলির মতো নামী কবিদের কবিতাও আর পড়ানো হবে না দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক সরোজিনী নাইডুর কবিতা ‘দ্য ভিলেজ সং’, যা দশম শ্রেণিতে পড়ানো হত। একইভাবে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারি, ডব্লিউ এম রায়বার্ন এবং আর শ্রীনিবাসনের লেখাও এবার যোগী রাজ্যে বাতিলের তালিকায়।
কেন সরকার এই লেখাগুলো বাদ দিল, তা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো কথা বলা হয়নি। এ নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লিবারাল লেখা বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী রচনা ঢোকানো হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সিলেবাসে। এটাই সত্যিকারের মগজধোলাই। শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই তৈরি হবে হিন্দুত্ববাদী চেতনা নিয়ে। প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বাতিলের অনুমোদন পাওয়ার পরই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন সিলেবাস অনলাইনে আপলোড করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের এক কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।