বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার গাবতলীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পানের সাথে উকুননাশক বিষ মিশিয়ে ননদকে হত্যা ও শ্বাশুড়ীকে হত্যার চেষ্টা করায় পপি আক্তার (২২) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে গাবতলী থানার পুলিশ। এ ঘটনায় পপির স্বামী আল-আমিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধোরা মধ্যপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মন্ডলের ছেলে আল-আমিন মন্ডল ৪ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে বগুড়া সদর থানার ২০নং ওয়ার্ডের বুজরুক বাড়িয়া কাজিপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে পপি আক্তারকে বিয়ে করে। সংসার জীবনে তাদের আতিকা খাতুন (৩) বয়সের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর মোজাম্মেল হক ও শাশুড়ি রাশেদা বেগম’র সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে পপি আক্তারের বনিবনা না হওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে পপি আক্তার সিদ্ধান্ত নেয় শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে হত্যা করার। প্লান মোতাবেক পানের জর্দ্দার সাথে উকুননাশক বিষ মিশিয়ে চলতি জুলাই মাসের ১৩ তারিখ সকাল ৯ টায় পপি আক্তার শ্বশুর মোজাম্মেল হক ও শাশুড়ি রাশেদা বেগমকে উকুননাশক বিষ মেশানো পান খেতে দেয়। শ্বশুর মোজাম্মেল হক (৫২) অজ্ঞাত কারণে পান না খেলেও শাশুড়ি রাশেদা বেগম (৫০) পান খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ীতেই স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক দিয়ে রাশদা বেগমের চিকিৎসা করানো হয়।
সংবাদ পেয়ে বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের ম্বামী উজ্জল আকন্দের বাড়ী থেকে ১৪ জুলাই সকাল ৮ টায় রাশেদা বেগমের মেয়ে বাদীর বোন সাথী বেগম (২৭) ধোরা গ্রামে ছুটে আসে অসুস্থ্য মা-কে দেখতে। সেখানে ভাবি পপি আক্তারের সাথে তার এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে কৌশলে পপি আক্তার ননদ সাথী বেগমকেও উকুন নাশক বিষ খাওয়ায়। সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ঘটনার দিনেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথী বেগম রাত সাড়ে ১০ টায় মৃত্যু বরন করে।
সংবাদ পেয়ে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৫ জুলাই পপি আক্তারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় স্বামী আল-আমিন মন্ডল বাদী হয়ে বোন সাথী বেগমকে হত্যা ও মা-রাশেদা বেগমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে স্ত্রী পপি আক্তারকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে।
এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পানের সাথে উকুননাশক বিষ মিশিয়ে প্রথমে আসামী পপি আক্তার শ্বশুর মোজাম্মেল হক মন্ডল ও শাশুড়ি রাশেদা বেগমকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ননদকেও একই উপায়ে কৌশলে উকুননাশক বিষ খাইয়ে হত্যা করে। পুলিশকে গৃহবধূ পপি আক্তার প্রাথমিকভাবে দোষ স্বীকার করে জানিয়েছে। মামলার পর আসামী পপি আকতারকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের মতে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে পপির মাথায় এধরনের দুষ্টু বুদ্ধির উদয় হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারনা ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।