মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেই এত মৃত্যু দেখেছে দেশটি। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে ২১ হাজারের বেশি। এর আগে এক বছরে মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এত মৃত্যু ঘটেনি। সম্প্রতি জাতীয় রোগ এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র (সিডিসি) প্রকাশ করে এ তথ্য।
সিডিসি জানায়, আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেশি। শুধু ২০২০ সালেই মাত্রাতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণে ৯৩,৩৩১ জন মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গতবার এই সংখ্যা ছিলো ৭২,১৫১। এজন্য লকডাউন, অন্তহীন মহামারি, কর্মসংস্থান হারানো আর অর্থনীতিতে ধসের মতো কারণগুলোকে শনাক্ত করেছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
করোনা মহামারি চলাকালে দীর্ঘ লকডাউন এবং পরিবার থেকে আইসোলেশনে থাকাকে বদভ্যাস বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন স্বাস্থ্যবিদরা। বলছেন, মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন মুখোমুখি আলোচনার।
শোরলাইন রিকোভারি সেন্টার প্রোগ্রাম পরিচালক কেট জ্যুড, মহামারি শুরুর পর আমাদের নিরাময় কেন্দ্রে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই উদ্বেগ-হতাশা এবং দ্বিমুখী আচরণ স্পষ্ট। এগুলোর পেছনে আমরা আইসোলেশন, সমাজচ্যুত থাকা, মহামারি, ব্যবসায় ধসের মতো কারণগুলো শনাক্ত করেছি। অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার মতোই আমরা ভার্চুয়ালি দিয়েছি সর্বোচ্চ সহযোগিতা। কিন্তু, এসব রোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলাটা বেশি জরুরি।
সিডিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গেলো বছর প্রতিদিন মাদকের প্রভাবে গড়ে আড়াইশোর মতো মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ১৯৯৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এছাড়া, লকডাউনে হিরোইনের তুলনায় বেড়েছে কৃত্রিম আফিম গ্রহণের পরিমাণ। যা ৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকর।
মাদকের মাত্রাধিক্যের জেরে এ মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের কমবেশি প্রায় সব অঙ্গরাজ্য। এর মধ্যে ভেরমন্ট, কেন্টাকি, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর পরিমাণ বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বছরের তুলনায় এ মৃত্যু ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে বেশি ভেরমন্টে মৃত্যু বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপরই কেন্টাকিতে মৃত্যু ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে মাদকের ব্যবহারের এই বৃদ্ধির পেছনে করোনাভাইরাসকেই অনেকটা দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট হতাশা থেকে মাদক গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। এর সঙ্গে সায় মিলিয়েছেন সিডিসির সাবেক পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ডও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।