Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যোগী রাজ্যে এবার সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল রবীন্দ্রনাথও, যোগ হলো রামদেব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২১, ১১:০৯ এএম

ভারতের উত্তর প্রদেশ বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ গল্পটি। চলতি বছর থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজি বিষয়ে এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালু করেছে যোগী সরকার। তা থেকে বাদ পড়েছে ‘ছুটি’ গল্পের ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য হোম কামিং’ এবং ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের প্রবন্ধ ‘দ্য উইমেনস এডুকেশন’।

নয়া পাঠ্যক্রম অনুযায়ী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'দ্য হোম কামিং', প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণানের লেখা 'দ্য উইমেন্স এডুকেশন' এবং এএল বাশামের 'দ্য হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া' দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়তে চলেছে। একইভাবে বাদ পড়বে আরকে নারায়ণনের 'অ্যান অ্যাস্ট্রোলজার্স ডে' এবং মুলক রাজ আনন্দের 'দ্য লস্ট চাইল্ড'। কোপ পড়তে চলেছে কবিতাতেও। সেখানে জন মিলটন বা পি বি শেলির কবিতা আর দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানো হবে না। দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়ছে সরোজিনী নাইডুর 'দ্য ভিলেজ সং'-ও। সঙ্গে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারি, ডব্লিউএম রেবার্ন, আর শ্রীনিবাসনের সাহিত্যকর্ম।

আচমকা কেন সিলেবাস বদলের সিদ্ধান্ত, তার কোনও ব্যাখ্যা সরকারি তরফে মেলেনি। ইউপিএমএসপি-র ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি বলে সরকারি তরফে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। কিন্তু সরকারি এক আধিকারিকের সাফ বক্তব্য, 'পাঠ্যক্রম বদলের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই অনলাইনে নয়া পাঠ্যক্রমের নির্দেশিকা চলে আসবে।' আর তার পর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে নয়া সিলেবাসে পড়বে পড়ুয়ারা।

অন্যদিকে, কিছু দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী চৌধুরি চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের পাঠ্যক্রমে রামদেবের বই ‘যোগ চিকিৎসা রহস্য’ এবং যোগী আদিত্যনাথের ‘হঠযোগ স্বরূপ এবং সাধনা’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ভারতের ওই রাজ্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার



 

Show all comments
  • Ali Hussain ১৬ জুলাই, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
    The nation that insults the teacher, the destruction of that nation is inevitable.
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Ar ১৬ জুলাই, ২০২১, ৪:১৭ পিএম says : 0
    আমরা বাঙালি জাতি সত্যিই খুবই নির্বুধ জাতি।ভারতবর্ষের বঙ্গবাসীরা শত শত বছর পরেও এবং এখনও বুঝতে পারে নি পশ্চিম অংশের আর্যরা(যতই ধর্ম এক হোক কারণ এখানে আবার বর্ণ প্রথার প্যাচ) কোনো কালই আমাদের সুজন ছিল না।আমাদের সামনে মুলা ঝুলিয়ে আমাদের সম্পদ লুট করে তারা লাট বাহাদুর হয়েছি বিনিমিয়ে আমরা পেয়েছি অবহেলা,নির্যাতন,শোষন,লাঞ্চনা আর বঞ্চনা।এর কারণ বাঙালির দাসত্ব মনোভাব।বাঙালি বুধ জেগেছিল সেই ৫২ আর ৭১ তে এর পরে আর জাগে নাই।সেই দাসত্ব মনোভাব আবার খুব শক্তি নিয়ে মাথা চাড়া দিচ্ছে।তবে এটা বেশি দিন থাকবে না।কারণ বাঙলার মাটিতে আবার উদয় হবে বাঙলা মায়ের সেই ভাসানি,নেতাজি,শেরে বাংলা,দেশবন্ধু,গণতন্ত্রের মানসপুত্র সূর্য সন্তানরা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ