Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের প্রলোভনে ঘর ছাড়া কিশোরগঞ্জের গৃহবধূকে ৯ জন মিলে ধর্ষণ করলো সিলেটে

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ৪:২৭ পিএম

কিশোরগঞ্জের এক গৃহবধূকে (২৫) সিলেটে এনে ৯ জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সিলেটে। বিয়ের প্রলোভনে ওই গৃহবধূকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এম এ জি ওসমনী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় কারাগারে ।

মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এক গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার পূত্র জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬)। পরে এ সম্পর্ক প্রেমের গড়ায়। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে বিয়ে ও তার দু সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করবে বলে আশ^স্ত করে প্রতারক প্রেমিক জাবেদ। অবশেষে গত ১০ জুলাই জাবেদের চলনার ফাঁদে পড়ে ভিকটিম চলে আসনে সিলেটে। শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ সিলেটে আসলে তাকে এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নে বুরজান চা-বাগানের সুন্দর মরাকোণা টিলার উপর একটি ছাউনিতে নিয়ে যান জাবেদ। সেখানেই আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা জাবেদের সহযোগী এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর পূত্র ফয়সল আহমদ (২২), বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের পূত্র রাসেল আহমদ (২৪) ও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শুক্কুরের বাজার এলাকার জামিল আহমদ (২২)- এই ৪ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন গৃহবধূকে। ধর্ষণের পরও ওই গৃহবধূকে আটকে রাখেন জাবেদ ও তার সহযোগিরা। দুই দিন আটকে রাখার পর ১৩ জুলাই ভোরে ঘটনাস্থলে যান জাবেদের সহযোগী আরও ৫ ধর্ষক। তারা হচ্ছেন- এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মুজিবুরের পূত্র রুবেল (২৫), কামাল উদ্দিনের পূত্র ইমাম (২৫), ইশরাক আলীর পূত্র ফারুক (২৩), মৃত ফুল মিয়ার পূত্র মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও জামালের পূত্র আবুল (২৬)। পরে এই ৫ জনও পালাক্রমে ধর্ষণ করে গৃহবধূকে। ঘটনার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ওই গৃহবধূ কৌশল করে সেখান থেকে পালিয়ে এসে এক পথচারীর মাধ্যমে পুলিশে খবর দিতে সমর্থ হন তিনি। এরপর এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষক ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ