বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৫ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বিক্ষোভ করেছেন। এর আগে তারা করপোরেশনের পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ গ্যারেজের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ১২০ জন বহিরাগত শ্রমিক ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘ ৫ মাস বেতন না পেয়ে ক্ষুব্ধ এসব কর্মী কেসিসির তেলের ট্যাংক গ্যারেজের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার তারা বিক্ষোভে নামেন। বহিরাগত শ্রমিক রাকিব বলেন, ‘করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য পরিষ্কার করছি। অথচ ৫ মাস বেতন পাচ্ছি না। বর্জ্য অপসারণের সময় গ্লাভস, মাস্ক, বুটজুতা, হেলমেট ব্যবহার করার কথা থাকলেও আমাদের কিছুই নেই। শুনেছি আমাদের জন্য এগুলো বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু আমরা পাইনি। বর্তমানে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। মুদি দোকানীরা আর বাকি দিতে চান না। বাড়িওয়ালারাও বাসা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।’
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে কেসিসির আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদান করেন। কয়েক মাস বেতন পেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি জুলাই মাস (পাঁচ মাস) পর্যন্ত বেতন পাননি। লকডাউন চলছে, সেই সাথে সামনে ঈদ। তারা এখন অনাহারে অর্ধাহারে রয়েছেন।
শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত ছিল নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করার। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করায় তারা প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন। বহিরাগত শ্রমিকদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত শ্রমিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের হাজিরা সংক্রান্ত একটি জটিলতার কারণে মেয়র তদন্ত কমিটি করেছিলেন। তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে মেয়র এর কাছে দেওয়া হয়েছে। এর পরের দিন তিনি অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চলে যান। মেয়র খুলনায় আসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে তদন্তে কেন এত দীর্ঘ সময় লাগলো তার সদুত্তর দিতে পারেননি হাফিজুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।