Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগদানের আংটি বিক্রি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বিশ্ব। বিশেষ করে টিকাদানের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে। মহামারীকালে অন্য অনেক কিছুর সাথে কমে গিয়েছিল বাগদান, বিয়ের মতো আনুষ্ঠানিকতা। তবে এখন আবার ধীরে ধীরে সেগুলো ফিরতে শুরু করেছে। ফলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিবাহনির্ভর শিল্পটি। দেশটিতে বেড়েছে বাগদানের আংটি বিক্রির পরিমাণও। মার্কিন গহনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শেন কোর চিফ কাস্টমার অফিসার প্রিন্স ব্ল্যানচার্ড সিএনএন বিজনেসকে বলেন, বিয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশের মানুষ। সে কারণে আমরা দেখছি বাগদানের আংটি ও ওয়েডিং ব্যান্ড বিক্রির পরিমাণ বেড়ে গেছে। কভিড-১৯-এর কারণে যেসব বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে স্বল্প পরিসরে হলেও অনুষ্ঠানগুলো পালিত হচ্ছে। আরেক গহনা প্রতিষ্ঠান ফাইন জুয়েলারি বলছে, এরই মধ্যে দেশজুড়ে আংটি ও গহনা বিক্রি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদানের পরিমাণ বাড়ার সাথেসাথেবিক্রি আরো বাড়বে। শুধু গহনার দোকানেই নয়, অনলাইনেও বেড়েছে বাগদানের আংটি বিক্রি। একই কথা জানালেন লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক গহনা বিক্রির প্রতিষ্ঠান মার্ক ব্রুমান্ডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেড়েছে চাহিদা। ফলে বিক্রি বাড়ছে। ২০২০ সালের জুনে তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছিল ৪০ শতাংশ। এ বছর তা ২০১৯ সালের চাইতেও ২০ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ মহামারীর আগের সময়ের চেয়েও ভালো ব্যবসা করছেন তারা। মহামারীর কারণে লাখো মার্কিন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে গেছেন। তবে এরই মধ্যে চাকরি করে গেছেন অনেকে। আবার কারো পরিবারের অন্য সদস্যরা কর্মরত ছিলেন। ফলে তারা কিছু অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছেন। যেহেতু চলাফেরার বিধিনিষেধ ছিল, রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল, তাই এ খাতের অর্থও জমাতে পেরেছেন অনেকে। ব্যাংক রেট ডটকমের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্রেগ ম্যাক ব্রাইড বলেন, মহামারীর কারণে অনেক মানুষকে বাধ্য হয়েই ব্যয় কমাতে হয়েছে। যেহেতু বাড়িতে বসেই অফিস করেছেন, বাইরে বের হতে পারেননি, সামাজিকতা করতে হয়নি। ফলে অনেক পরিবার অন্য সময়ের চাইতে বেশি অর্থ সঞ্চয় করতে পেরেছেন। এখন সবকিছু আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ওই জমানো অর্থের একটা বড় অংশ অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে। সেটা বিয়ে বা অন্য যেকোনো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে হতে পারে। অন্যদিকে কভিডকালের বিধিনিষেধ, উৎপাদন ও চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী হীরার সংকট দেখা দিয়েছে। কাসিয়া জুয়েলারির প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার কাটারজায়না রোজালেস বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামাল দিতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মার্কিন যে প্রতিষ্ঠান হীরার মানসংক্রান্ত সনদ দেয়, তাদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। সিএনএন বিজনেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ