প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এবারের ঈদে সিনেমা মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। লকডাউনের কারণে সিনেমা হল খুলবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ফলে নতুন সিনেমা মুক্তি দেয়া নিয়ে নির্মাতারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তবে সিনেমা হল যদি খোলা থাকলে চলচ্চিত্রের মুভি লর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সিনেমা মুক্তি দিতে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, গত ঈদে সীমিত পরিসরের লকডাউনের মধ্যে আমার সৌভাগ্য সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছিলাম। এর মধ্যেও সিনেমাটি দর্শক দেখেছেন। দর্শক সিনেমা হলে গিয়েছেন। যদি স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকত, তাহলে সিনেমাটি বিপুল ব্যবসা করত। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থার মধ্যেও আমি একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছি। প্রতি মাসে একটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছি। ঘোষণা অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ছয়টি সিনেমার কাজ শেষ করেছি। সিনেমাগুলো মুক্তির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এই ঈদেও আমার সিনেমা মুক্তি দেয়ার আগ্রহ রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি এবং হল খোলার ওপর। যদি সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্ত হয়, তবে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। ডিপজল বলেন, চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থা কাটানোর জন্য একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছি। আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক গল্পকে প্রাধান্য দিয়ে সিনেমাগুলো নির্মিত হচ্ছে। আমি মনে করি, ভাল গল্পের সিনেমা হলে দর্শক দেখে। তাদের ভাল গল্প দিতে হবে। গতানুগতিক গল্প ও নির্মাণ দিয়ে দর্শককে আকৃষ্ট করা সম্ভব নয়। এদিকে ডিপজল মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকার অদূরে সাভার এবং মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। ডিপজল বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশ নিজস্ব সংস্কৃতির বলয়ের পরিচয়ে বিশ^ আঙিনায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। অনেকদিন আগে থেকেই আমার এমন স্বপ্ন ছিল। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই স্বপ্নকে আর একটু বড় করতে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, শুধু আমি একা সিনেমা বানালে হবে না, অন্যদেরও সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য মৌলিক গল্প খুব দরকার। আমি লক্ষ্য করেছি, মৌলিক গল্প হলে হলিউড-বলিউড যে সিনেমাই আসুক না কেন দর্শক আমাদের সিনেমাই দেখবে। আমাদের একটি সিনেমা কান ফেস্টিভ্যালে গিয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সিনেমাটির গল্প কিন্তু মৌলিক। এমন সিনেমা হলে দেশে সিনেপ্লেক্স, মাল্টিপ্লেক্সের চাহিদা বাড়বে। এ কারণে আমি নতুন এই উদ্যোগ নিয়েছি। ডিপজল বলেন, এ মাসেই নকশা চূড়ান্ত হবে। আগামী জানুয়ারিতে কাজ শুরু করব। ২০০ এবং ১৫০ আসনের মাল্টিপ্লেক্সে থাকবে ফুড কোর্ট, কিডস জোন, জিম, সেলুন ইত্যাদি। সরকারের ঋণ তহবিলের ব্যবস্থার প্রশংসা করে ডিপজল বলেন, সিনেমার অভাবে অনেক হল বন্ধ রয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ঋণ তহবিল হলের আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে আমি নিজস্ব অর্থায়নেই মাল্টিপ্লেক্স করব। উল্লেখ্য, ডিপজলের বর্তমানে দুটি সিনেমা হল রয়েছে। মিরপুরে অবস্থিত হল দুটি হচ্ছে এশিয়া ও পর্বত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।