বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টয়লেটের দৃশ্য দেখলেই বুঝা যায় এই হাসপাতালের সেবা কেমন হবে। যে হাসপাতালে রুগী সুস্থ হাওয়ার জন্য যায়। সেই হাসপাতাল এখন নিজেই অসুস্থ। কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন হাসপাতালে আসা সেবা প্রার্থীরা। হাসপাতালের বাহিরে ফিটপাট ভিতরে সদরঘাট এমন অবস্থা রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। টয়লেটের দুর্গন্ধ এমন অবস্থা যে, কোন সুস্থ মানুষ গেলে সে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়বে। কিন্তু কর্তা ব্যক্তির মুখে শুধু হাসপাতালের উন্নয়নের বয়ান।
সেবা প্রার্থীরা জানান, আগে হাসপাতালের চিকিৎসা দরকার। পরে রুগীদের চিকিৎসা। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চলছে রামগতি উপজেলার একমাত্র এই সরকারি হাসপাতালটি। লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের উদাসীনতায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন হাসপাতালে আসা সেবা প্রার্থীরা।
এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামনাশীষ মজুমদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. কামনাশীষ মজুমদার। এর পূর্বেও তিনি একই প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার রামগতি উপজেলার ৮নং বড়খেরী ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা ইনডোর রোগীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি ও চিকিৎসা করান বলেও জানা গেছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ করেন। ভুক্তভোগী অনেকেই তার ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এছাড়া সেবাপ্রাপ্তির জন্য এলে গরীব অসহায় রোগীদের নোয়াখালীর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার করেন ও প্রাইভেট ল্যাব থেকে সুবিধা নিয়েও নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের সর্বশান্ত করেন বলে জানা গেছে।
এব্যাপরে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক নয় দাবি করে বলেন, একটি কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল গফফার বলেন, অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।