Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পঞ্চগড়ে বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার

খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা
পঞ্চগড়ে অপরিকল্পিতভাবে বেকারি কারখানায় খাদ্যসামগ্রী তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এসব খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেখার কি কেউ নেই। ফাস্টফুড খাদ্যসামগ্রী হিসেবে বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় বেকারি খাবার পরিবারের প্রায় সকলেই খেয়ে থাকে। শিশুদের পছন্দের খাবার হিসেবেও এসব খাবার তাদের কাছে প্রিয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব খাবারের চাহিদাও ব্যাপক। গ্রাম থেকে শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে হরহামেশাই প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাদ্যসামগ্রী। এসবের বেশির ভাগ পণ্যে থাকে লেবেল। ফলে মানুষ নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসস্মত মনে করেই এসব খেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব তৈরির ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পঞ্চগড় শহরের উপকণ্ঠে ব্যারিস্টার বাজার সংলগ্ন ‘ঢাকা বেকারি’ নামক একটি কারখানায় নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য যেমনÑ কেক, পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানা বেকারি খাবার। ওই বেকারির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মনে হবে এটি একটি মেস বা পরিত্যক্ত বাসা। স্যাঁতসেঁতে মাটিসহ নোংরা পরিবেশ। নামমাত্র একটি ঘরে বড় আকারে চুলা বসিয়ে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে। ভিতরে দেখা যায়, শ্রমিকরা মাটিতে দাঁড়িয়ে অপরিছন্ন শরীরে এসব পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। একজন শ্রমিক জানান, মালিকের নাম রফিকুল। এ সময় কারখানার ভিতরে একটি ছোট টিনশেড ঘরে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার নাম মানিক। কী দায়িত্বে আছেন জানতে চাইলে জানান, তিনি ম্যানেজার। পরে এক সময় দাপট দেখিয়ে তিনি বলেন, কোনো ছবি তুলবেন না। শুনলাম আপনি ছবি তুলেছেন, ছবি তুলে থাকলে তা ঠিক হবে না। পরে তিনি চা খাওয়ার অফার দেন। পরিবেশ এমন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই সব তো ঠিক আছে। তিনি বিএসটিআই’র অনুমোদন আছে বলে দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ