সুনামগঞ্জের ছাতকে কঠোর
লকডাউন উপেক্ষা করে জাউয়াবাজারে বসলো গরুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে শনিবার সকাল ১১টায় বসে ওই হাট। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ হাটে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় চলে। বাজারটি ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের জমজমাট উপস্থিতি।
বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এ হাটে আসেন। এলাকার অনেক সৌখিন খামারিরাও বিক্রির জন্য হাটে তুলেছিলেন তাদের গরু। অনেকেই তাদের গরু বিক্রি করেছেন, লাভবানও হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাউয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৫ঘন্টা গরুর হাটে জমজমাট ভাবে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় চলে। হাট চলাকালে প্রশাসনের কাউকে আশপাশ এলাকায় দেখা যায় নি। কঠোর
লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে এ হাট বসায় নানান প্রশ্ন তুলেন তারা।
করোনা সংক্রমণে বড় ধরণের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জাউয়াবাজারের ইজারাদার শাহিন মিয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে এলাকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটাতে পশুর হাট বসানো হয়েছে। এখানের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সকলের মুখে ছিল মাস্ক। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোরবানির পশুরহাট বসাতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)'র অনুমতি নেন নি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল জানান, সুনামগঞ্জ ডিসি অফিস থেকে জাউয়াবাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রিট দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর
লকডাউন। এর ভেতরে বাজার বসানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাউয়াবাজারে যতক্ষণ ম্যাজিস্ট্রিট ছিলেন ততক্ষণ পশুর হাটে কেউ বসতে পারেনি। বিষয়টি পুলিশকে নির্দেশনার পাশাপাশি ইজারাদারকেও নিষেধ করা হয়েছে।