বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একটি ইজিবাইক আটকালে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে আরো ৪/৫ টি ইজিবাইক। মোটর সাইকেল আটকালেই বলা হচ্ছে জরুরী কাজে বের হয়েছি। সিগন্যাল দিলে তা অমান্য করছে ব্যাটারী চালিত রিকশা ও মাহেন্দ্র গুলো। পুলিশ দেখলে অলিতে গলিতে দোকানপাট বন্ধ, চলে গেলেই আবার খোলা। ভৈরব ও রূপসা নদীতে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি পারাপার। এভাবেই খুলনায় পালিত হচ্ছে কঠোর লকডাউন। লকডাউন কার্যকর করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। এদিকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের অপেক্ষাকৃত নমনীয়তার কারণে লকডাউন অমান্যের প্রবনতা বেড়ে গেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। করোনার হটস্পট খুলনায় ধারণা করা হচ্ছিল সর্বোচ্চ কঠোর লকডাউন আরোপিত হবে। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন দেখা গেছে। এবার শুরু থেকেই প্রশাসন অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছে। ভ্রাম্যমান আদালতের তৎপরতা কমেছে। এ সুযোগটি নিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
গত ৩ দিনে খুলনায় লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে ৯১ জনকে। অথচ খুলনাতেই গত ১১ জুলাই একদিনে দন্ড দেয়া হয় ৮৯ জনকে। ৯ জুলাই ৭৭ জনকে, ৮ জুলাই ৫৬ জনকে। এ চিত্র বলে দেয় লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন অপেক্ষাকৃত শিথিলতা অবলম্বন করছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনার জিরোপয়েন্টে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, 'উপর থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, আমরা তেমন ভাবেই কাজ করব। কঠোর হতে বললে কঠোর হব। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ছাড় দিচ্ছি।'
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা জানিয়েছেন, 'লকডাউন কার্যকরে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। সরকারি নির্দেশে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করা হচ্ছে।'
জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান বলেন, 'জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী চালাচ্ছে। টহল জোরালো করা হয়েছেন লকডাউন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।