বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। ঈদ পরবর্তী সরকার ঘোষিত লকডাউনের ষষ্ঠ দিন চলছে।ময়মনসিংহের ফুলপুরে কঠোর নজরদারির মাঝেও লকডাউন নিয়ে চলছে চোর পুলিশ খেলা, চলছে লুকোচুরি, চলছে প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে লকডাউন অমান্য করার প্রতিযোগীতা। ফুলপুরে লকডাউনে রাস্তায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। সরকারের বিধি নিষেধ তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে সাধারণ মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও লোকজনকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। এছাড়াও রাস্তায় মাহেন্দ্র, মোটর সাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চলাচল বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে কেউ মানছে না সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি। বিধিনিষেধে যেসব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা ছিল অলিগলিতে ও গ্রাম-গঞ্জে সেগুলো খোলা। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এবং অযাচিত চলাচল রোধে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হলেও তারা ফিরে গেলে আবারও আগের অবস্থানে চলে যায় মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনীর লোকজন সরকারী নির্দেশনানুযায়ী লকডাউন কার্যকর করার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সাধারন জনগন প্রশাসনের সাথে খেলছে চোর পুলিশ খেলা। প্রশাসনের লোকজন আসলে দোকান পাট বন্ধ রাখে আবার চলে গেলে প্রশাসনের লোকজনকে ফাকি দিয়ে দোকানপাট খুলছে, ব্যাবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, রাস্তায় নামছে শত শত মানুষ, শুধু যাত্রীবাহী বাস ছাড়া চলছে সকল ধরনের যানবাহন। করোনা মহামারী বা তা প্রতিরোধে লকডাউন চলছে বা এ নিয়ে সচেতনতা এরকম কোন অনুভুতিই লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা জনগনের মাঝে। এমনকি মাস্কও পরছে না অধিকাংশ মানুষ। তবে দৈনিক আয়ের খেটে খাওয়া, রিক্সাচালক,অটোচালক এ জাতীয় লোকজন লকডাউন কেন মানছেন না বললে তারা বলেন তারা দৈনিক আয় করা মানুষ দৈনিক কাজ না করতে পারলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তার জন্য তারা করোনার মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে।
ফুলপুরে প্রতিদিন লকডাউন নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেশ চন্দ্র সরকার ও ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন'র নেতৃত্বে প্রশাসন মাঠে নামে। সকাল থেকে তারা ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড, থানা রোড, হালুয়াঘাট রোড ও শেরপুর রোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খোলা দোকান বন্ধ করে দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে বেচা কেনার জন্য বিভিন্ন ঔষধের ও নিত্যপ্রয়োজনিয় পণ্যের দোকানকে বলেন। এসময় তারা লকডাউন নিশ্চিতে সরকারী আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে জনবল কম থাকার কারনেও লকডাউন কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে অনেক। করতে হচ্ছে দাপ্তরিক কাজও। দেখা গেছে প্রতি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ওসি সহ প্রতি থানায় পুলিশের সদস্য রয়েছে। তারা এক দিকে গেলে অন্যদিকে হরদম স্বাভাবিক কাজকাম করছে সকলে। তারা শহরে থাকলে গ্রামগঞ্জে লকডাউনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়, আবার গ্রামগঞ্জে গেলে শহরে ব্যাহত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।