চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : নিষিদ্ধ লটারীর বা অপর কোনো হারাম উপায়ে টাকা পেয়ে কেউ যদি ব্যবসা-বানিজ্য, জমি-খেতি করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয় তবে এসব সম্পত্তি তার জন্যে কি রূপে হালাল হতে পারে? যদি হালাল না হয় তাহলে এ অপরাধ থেকে তার মুক্তির উপায় কি?
উত্তর : হারাম উৎস বা পন্থা থেকে আগত অর্থ সম্পদের মাধ্যমে যত সম্পদই আসুক, সবই হারাম। গোটা জিন্দেগী কেটে গেলেও এ সম্পদ হালাল হতে পারে না। এ ধরনের আর্থিক অপরাধ থেকে মুক্তির উপায় হারাম সম্পত্তি বর্জন করে হালাল উপায়ে জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া। আল্লাহর নিকট তওবা, ক্ষমা প্রার্থনার দ্বারা সকল গোনাহই মাফ হয়ে যায় তবে অন্য মানুষের হক সরাসরিভাবে আল্লাহ মাফ করেন না। অতএব, অপরের অধিকার যে কোনো মূল্যে পৌঁছে দেয়ার পর আল্লাহর নিকট কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ মাফ করবেন। হারাম সম্পত্তির অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্যে কোনো বিজ্ঞ মুফতি বা ইসলামী আইনবিদের পরামর্শ গ্রহণ করলে পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারেন।
প্রশ্ন : কারও গচ্ছিত অর্থ ফেরত দেওয়ার আগেই ব্যক্তিটির মৃত্যু হল। দুনিয়াতে তার কোনো ওয়ারিশ নাই, তাহলে এ সম্পদ এখন কি করবো?
উত্তর : স্মরণ করে দেখবেন, আমানতকারী (যিনি গচ্ছিত রেখেছিলেন) এ বিষয়ে কোনো ওসিয়ত করেছিল কি না। যদি না করে থাকে, তাহলে আপনার শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে যে, তার কোনো ওয়ারিশ নেই। ওয়রিশের বহু ধাপ রয়েছে। পুত্র, কন্যা, স্ত্রী, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, চাচা, ফুফু ইত্যাদি কেউই যদি না থাকে তাহলে এ সম্পত্তির প্রাপক ইসলামী শরীয়তি সরকার। এমন ব্যবস্থা যেহেতু বর্তমান মুসলিম সমাজ চালু করতে পারছেনা, অতএব এসব কোনো সওয়াবের কাজে লাগাতে হবে। যার সম্পূর্ণ নেকী ওই মৃত আমানতকারী ব্যক্তি প্রাপ্ত হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।