মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা ও অর্থনীতির বিপর্যয় কাটাতে মন্ত্রীসভার রতবদল করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জানা গেছে, ভারতে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় শপথ নিয়েছেন নতুন ৪৩ জন। ফলে পূর্ণ মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন ৭৭ জন। আর এর মাঝে স্থান পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের চারজন।
এদিন শুরুতে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ নারায়ণ রানে। শপথ নিয়েছেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল। নীতিশ কুমার ঘনিষ্ঠ জেডিইউ সাংসদ রামচন্দ্র প্রসাদ সিং। শপথ নিয়েছেন ওড়িষ্যা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণব। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সচিব ছিলেন বৈষ্ণব। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পশুপতি পারশ। পরলোকগত রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি পারস। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কিরেন রিজেজু এবং আরকে সিং। ইউপিএ আমলের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন আরকে সিং।
পদোন্নতি পেয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, জি কিষাণ রেড্ডি এবং পুরুষোত্তম রূপালা, অনুরাগ ঠাকুরের। তারা প্রত্যেকেই মোদি মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এদিন মোদি মন্ত্রিসভায় প্রথমবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আইনজীবী ভুপেন্দ্র যাদব। তিনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ।
দ্বিতীয় মোদি মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ২৯টি পদ ফাঁকা রয়েছে। এদিন ৭ জন মন্ত্রীর পদোন্নতি হয়েছে।
রদবদলের আগে ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন সদানন্দ গৌরা, রমেশ পোখরিয়াল, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকর, হর্ষ বর্ধনসহ অন্য হেভিওয়েটরা। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ জন নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে জল্পনা।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে চমক দিয়েছেন মোদি-শাহ। গেরুয়া দল সূত্রের খবর, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে এই বিষয়টির উপর বিশেষ জোর দিতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। এছাড়াও, ভারসাম্য রক্ষায় বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে ঠাঁই দেয়া হয়েছে কয়েকজনকে। পাশাপাশি এনডিএ শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং পরলোকগত রামবিলাস পাসওয়ানের দল এলজেপি থেকে একজন করে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে।
এটাই হতে চলেছে ভারতের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যেই প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয়। উত্তরবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয়া হচ্ছে কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক এবং আলিপুরদুয়ারের জন বার্লাকে। মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার এবং বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর। এই চারজন প্রতিমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে।
আজই হচ্ছে মন্ত্রণালয় বণ্টন। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দৌড়ে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বেড়েছে মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধিত্ব। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনডিএ শরিক আপনা দলের প্রধান মির্জাপুরের সাংসদ অনুপ্রিয়া প্যাটেল। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মীনাক্ষী লেখি, প্রতিমা ভৌমিক, অন্নপূর্ণা দেবী, ভারতী প্রবীণ পাওয়ার, শোভা করন্দালজে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।