নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে চরম উত্তেজনা ও রোমাঞ্চকর জয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ২ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও ১৪ বার কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ী আর্জেন্টিনা। প্রথম সেমিফাইনালে পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় লাভ করে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও ৯ বার কোপা আমেরিকা কাপ বিজয়ী ব্রাজিল। এবার দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবারও কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল।
এর আগে সেমিফাইনালের ম্যাচ সেরা হয়ে গণমাধ্যমকে কথা বলতে এসে নেইমার জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় সেমিতে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করবেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘ফাইনালে আমি আর্জেন্টিনাকে চাই। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ওদের জন্যই সমর্থন থাকবে। ওই দলে আমার অনেক বন্ধু আছে।’ নেইমারের সেই চাওয়াই এবার সত্যি হলো। তাই এবার ফাইনাল হবে মেসি বনাম নেইমার দ্বৈরথ।
কোপা আমেরিকার শিরোপার ধ্রুপদী এই লড়াই নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১১ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা।
কোপা আমেরিকার ফাইনাল প্রসঙ্গে আবির হাসান সোহাগ ফেইসবুকে লিখেন, ‘২০০৭ সালের পর কোপা আমেরিকা ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বিশ্ব ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। অভিনন্দন দুই দলকে। আশা করি, অবশ্যই ম্যাচটি উপভোগ্য হবে।’
আর্জেন্টিনার প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে সোহেল রানা লিখেন, ‘গোলরক্ষক মার্টিনেজের বীরত্বে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইলো প্রিয় দলের জন্যে। ভালবাসার ফুটবল টিম আর্জেন্টিনা, সব সময়ের সেরা দল ফুটবলে পূর্ণতা এনে দেওয়া, ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি করা, বিশ্বের সেরা সেরা ফুটবলার তৈরির কারখানা, আধুনিক ফুটবলের জনক, বিশ্বের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় ৬বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা, অভিনন্দন প্রিয় টিম।’
ব্রাজিল সমার্থক জহিরুল ইসলাম কামাল লিখেন, ‘আর্জেন্টিনা ফাইনালে গিয়েছে খুব ভালো হয়েছে। দু’দলই শিরোপার যোগ্য দাবিদার। দু’দলই ভালো খেলুক। দর্শকেরা উপভোগ করুক। যে বেশি ভালো খেলবে সেই জিতুক। ভালো খেলা উপভোগ করবো ইনশাআল্লাহ। ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা রইলো।’
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক অ্যামিলিয়ানো মার্টিনেজের প্রশংসা করে তাসলিমা আমরিন লিখেন, আর্জেন্টিনার গোলকিপার প্রশংসার দাবিদার। উনার জন্য আজকে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আশা করি ফাইনালে বড় ধরনের একটা চমক আসতে চলেছে। অভিনন্দন প্রিয় আর্জেন্টিনা।’
দুই দলের দেশীয় উগ্র সমার্থকদের নিয়ে গাজী মিজানুর রহমান লিখেন, ‘বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল+আর্জেন্টিনা কোপা ফাইনালে ওঠে। এটা যারা সত্যিকারের ফুটবলপ্রেমী তাদের জন্য সুসংবাদ। কিন্তু বাংলাদেশে এই দু'দেশের কিছু উগ্র সমর্থক রয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে ভালোভাবে খেলা বুঝে না। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ফাইনালে ওঠার পর বাংলাদেশে বসবাসকারী এই দু'দলের সেই উগ্র সাপোর্টাররা ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলাদেশেই ফাইনাল খেলে ফেলবে এবং কোনো গোল ছাড়াই শুধু মুখ দিয়ে দু'দলের সাপোর্টাররা নিজ নিজ দলকে বিজয়ী করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।’
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই সমর্থক এর মধ্যে তর্ক হচ্ছে। ব্রাজিলের সমর্থক বলছে, ফুটবল পায়ের খেলা। তোরা সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিস পা দিয়ে খেলে না, হাত দিয়ে খেলে। তোদের ম্যারাডোনা হাত দিয়ে গোল করে বিশ্বকাপ জিতেছে, কিসের বড়াই করিস এতো? আর্জেন্টিনা সমর্থক জবাব দিল, আরে মিয়া হাত দিয়ে গোল করতে যোগ্যতা লাগে, ওইটা আর্জেন্টিনার আছে। ম্যারাডোনার পর মেসিও সেটা করে দেখিয়েছে। তোদের ব্রাজিলের কেউ এইরকম পারছে? তোদের নেইমারকে বল না এরকম ঈশ্বরের হাত দিয়ে একটা গোল করে দেখাতে? এই প্রসঙ্গে একটা পুরনো দিনের গল্প মনে পড়ে গেল। সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলার দুই পুরান ঢাকাইয়া সমর্থকের মধ্যে তর্ক হচ্ছে। শেরে বাংলার সমর্থক সোহরাওয়ার্দীর সমর্থক কে বলছে, তোর নেতা তো ক্ষমতা পাইলে দ্যাশ বেইচ্যা দিব। সোহরাওয়ার্দীর সমর্থক শেরে বাংলার সমর্থককে জবাব দিল, আব্বে হালায় দ্যাশ বেচতে যোগ্যতা লাগে, তোর লিডারের সেই যোগ্যতাও নাইক্কা। তোর লিডার তো দ্যাশ ভি ব্যাচতে পারবো না। খেলা কিংবা রাজনীতি, সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন এমন অন্ধ আনুগত্য দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।’
দুই দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম লিখেন, ‘খেলাকে জাস্ট খেলা হিসেবেই দেখা উচিত আনন্দ নেয়ার জন্য, তবে বেশী মাতামাতি করা ঠিক নয়। অলরেডি কিছু জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। আবেগী এ জাতি আবেগ কন্ট্রোল করে খেলা দেখা উচিত। না হলে এমন সুন্দর খেলাকেও মানুষ অপছন্দ করা শুরু করবে। শুভ কামনা প্রিয় টিমের জন্য...’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।